ফাইল ছবি।
ফাল্গুনী পূর্ণিমা তিথিতে পালন করা হয় বসন্তোৎসব। শ্রীকৃষ্ণের নানা লীলার অন্যতম এই লীলা। এই দিনটি আমাদের কাছে খুব আনন্দের, খুশিরও। এই দিনে রঙে রঙে ভারতবাসী নিজেদের রাঙিয়ে তোলে। শান্তিনিকেতন, নবদ্বীপ, মায়াপুর, বৃন্দাবন, মথুরা-সহ দেশের প্রায় সর্বত্র দোল উৎসব পালন করা হয়। দোলের দিনটি আমাদের কাছে আরও এক বিশেষ কারণে গুরুত্বপীর্ণ। ওই দিন শ্রীশ্রী গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর জন্মদিন।
এবার দেখে নেওয়া যাক কেন বা কী কারণে এই রঙের উৎসবে স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ মেতে উঠেছিলেন।
দ্বাপর যুগের কথা। সেই সময় দুই দৈত্যের অত্যাচারে মথুরাবাসী অত্যন্ত সন্ত্রস্ত ছিলেন। সব সময় তারা ভয়ে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছিলেন। সে সময়ে সকল মথুরাবাসী এক হয়ে শ্রীকৃষ্ণের কাছে তাদের এই অত্যাচারের কথা বর্ণনা করেন এবং এই অত্যাচারের হাত থেকে তাদের রক্ষা করতে অনুরোধ করেন।
আরও পড়ুন: প্রকৃতির রঙে দোল খেলতে নেই মানা, বাঁচিয়ে চলুন উজ্জ্বল রং
আরও পড়ুন: রং দিয়ে নয়, চোখ ঢাকা থাক চশমার আড়ালে
ঠিক ফাল্গুনী পুর্ণিমার আগের দিন শুক্লা চতুর্দশী তিথিতে শ্রীকৃষ্ণ ও বলরাম মিলে ওই দুই দৈত্যকে হত্যা করেন। এর পর সন্ধ্যার সময় শুকনো কাঠ, খড়কুটো দিয়ে তাদের আগুনে পুড়িয়ে দেন। সেই দিন থেকে ন্যাড়াপোড়া প্রচলিত হয়। এইভাবে শ্রীকৃষ্ণ দুই দৈত্যের অত্যাচার থেকে মথুরাসাবীকে মুক্তি দিলেন। মথুরাবাসী তাদের এই মুক্তির দিনটি শ্রীকৃষ্ণ ও বলরামের সঙ্গে রঙে রঙে উদ্যাপন করেন। সে দিন থেকেই শুরু হয় এই দোল উৎসব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy