ডাক্তারি পাশ না করেও আমরা কিন্তু প্রত্যেকেই অল্প বিস্তর ডাক্তার। তাই নয় কি? এই যেমন জ্বর-জ্বর ভাব হল অমনি একটা প্যারাসিটামল খেয়ে নিলেন। অফিসে একই জায়গায় বসে ভীষণ পিঠে ব্যাথা হল। তো নিজেই নিজের প্রেসক্রিপসন লিখে ফেললেন। হয় পেন কিলার না হয় ঘরোয়া পদ্ধতিতে ব্যাথা কমানোর রাস্তায় হাঁটলেন। তাতে ক্ষণিকের ব্যাথা থেকে মুক্তি অবশ্যই মিলবে। কিন্তু জানেন কি? সব ব্যাথার ঘরোয়া ট্রিটমেন্টও ভবিষ্যতে ডেকে আনতে পারে বড় বিপদ।
চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন এমন ৫টি ব্যাথা রয়েছে। যেগুলোর চিকিৎসা বাড়িতে করা বিপদজনক।
১) অনেক সময় হাড়ের জয়েন্টে খুব ব্যাথা হয়ে ফুলে যায়। হাঁটু লাল হয়ে যায়। এটা আসলে আর্থারাইটিসের লক্ষণ। এই ধরনের ব্যাথার চিকিৎসা নিজে করতে যাবেন না।
২) বাঁ হাতে যদি ব্যাথা অনুভব করেন। আর একই সঙ্গে বুকে কিংবা পিঠের উপরের দিকে কোনওরকম অস্বস্তি অনুভূত হয়। তা হলে তা খারাপ লক্ষণ। অ্যাঞ্জিনা পেকটোরিস এর কারণ হতে পারে। অর্থাৎ আপনার হার্টের সমস্যা হতে পারে। শীঘ্রই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
৩) পায়ের পেশীর খিঁচুনি ধরা বা প্রচন্ড ব্যাথার সঙ্গে যদি সেই জায়গা বিবর্ণ হতে শুরু করে কিংবা জায়গাটা ঠাণ্ডা হয়ে যায় তা হলেও সাবধান।
৪) পিঠে প্রচণ্ড ব্যাথার সঙ্গে যদি আপনি মূত্র থলির পেশীর উপরে নিয়ন্ত্রণ হারান। বা মনে হয় আপনার দুই পা ক্রমশ অসাড় হয়ে যাচ্ছে তা হলে তা কিন্তু নার্ভের সমস্যা হতে পারে। এই ক্ষেত্রে মূলত কোনও একটি নার্ভের উপরে আশপাশের পেশী চেপে বসে যায়। যার ফলে নার্ভটি কাজ করতে পারে না। আপনি বা আপনার পরিচিত কেউ এই সমস্যার সম্মুখীন হলে ঘরোয়া টোটকাতে যাবেন না। চটজলদি চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৫) শরীরের যে কোনও জায়গায় যদি দীর্ঘদিন ধরেই এমন কোনও ব্যাথা থেকে থাকে। যা রাতে বাড়ে। তা হলে কিন্তু হাড়ের ক্যানসার হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy