আগামী দিনে নারীদের সৃষ্টি, তাঁদের উদ্যোগ, হাতের কাজ— সবই যেন আরও সহজে সামনে আসে, তা নিয়ে সচেতনতা ছড়ানোই ছিল এই অনুষ্ঠানের মূল ভাবনা। নিজস্ব চিত্র।
বেনারসের সিল্ক, বাংলার জামদানি কিংবা মধ্যপ্রদেশের চন্দেরি— এক দোকানে সব মিলবে। পছন্দ করে নেওয়া যাবে বাড়ি বসেই। সঙ্গে মানানসই গয়না, জুতিও বেছে নিতে পারেন। www.zaarii.com ওয়েবসাইটে গিয়ে শুধু খুঁজে নিতে হবে নিজের পছন্দের জিনিসটি। হাজির হবে ঘরে।
কিন্তু এমন ওয়েবসাইট তো অনেকই আছে। তবে আবার আর একটি তৈরি করে কী হল? এই ই-মার্কেটপ্লেস এক জায়গায় বাকি সবের থেকে আলাদা। তা হল ভাবনায়। যে সকল নারী হাতের কাজ করেন, তাঁদের ক্ষমতায়নের জন্যই মূলত কাজ করে ‘জ়রি’। আর সে উদ্দেশে চলতি মাসে কলকাতায় একটি অনুষ্ঠানও করা হয়। ফ্যাশন শো-এ নানা প্রান্তের মহিলাদের হাতে তৈরি জিনিসে র্যাম্পে ধরা দেন মডেলরা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হিডকো-র কর্তা দেবাশিস সেন, চিকিৎসক রূপালি বসু, অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, এগিনগুট মাইক্রোব্রিউয়ারির মনু গুলাটি প্রমুখ।
আগামী দিনে নারীদের সৃষ্টি, তাঁদের উদ্যোগ, হাতের কাজ— সবই যেন আরও সহজে সামনে আসে, তা নিয়ে সচেতনতা ছড়ানোই ছিল এই অনুষ্ঠানের মূল ভাবনা। বিভিন্ন অঞ্চলের মহিলাদের হাতে তৈরি পোশাক পরে যেমন র্যাম্পে হাঁটলেন অংশগ্রহণকারীরা, তেমই হল মেয়েদের ক্ষমতায়ন নিয়ে আলোচনা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন তিন ফ্যাশন ডিজাইনার অনূশ্রী মলহোত্র, রেশমী আগরওয়াল এবং রোশন চৌধুরী। তাঁরাই উদ্যোগী হয়েছেন বিভিন্ন প্রান্তের মেয়েদের হাতের কাজ তুলে ধরার এই আয়োজনে।
‘জ়রি’র প্রতিষ্ঠাতা প্রবাল বসু ও রানা বসুঠাকুর আশাবাদী, আগামী দিনে নারীদের কাজ আরও ভাল ভাবে জায়গা করে নিতে পারবে সমাজে। তাঁদের পাশে থাকতে চায় ‘জ়রি’।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy