পুরুষাঙ্গের দৈর্ঘ্য নিয়ে মিলল বিস্ময়কর তথ্য ছবি: সংগৃহীত
দেহ সৌষ্ঠব বা গৌণ যৌন লক্ষণ নয়, পুরুষাঙ্গের দৈর্ঘ্য কেমন তা বলে দিতে পারে তর্জনী ও অনামিকার দৈর্ঘ্যের অনুপাত। অদ্ভুত শোনালেও এমনটাই দাবি জাপানের একদল গবেষকের।
‘এশিয়ান জার্নাল অব অ্যানড্রোলজি’ নামক একটি বিজ্ঞান বিষয়ক পত্রিকায় প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে জানানো হয়েছে অনামিকার তুলনায় তর্জনীর দৈর্ঘ্য যত কম হবে, আনুপাতিক ভাবে পুরুষের লিঙ্গের দৈর্ঘ্য হবে তত বেশি।
বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হয় ডিজিট অনুপাত। এর আগেও জানা গিয়েছিল যে, অঙ্গুলির দৈর্ঘ্যের অনুপাত এবং যৌন আচরণ ও হরমোনের ক্ষরণ পরস্পর সম্পর্ক যুক্ত। এমনকি, শুক্রাশয়ে ক্যানসারের আশঙ্কা কতটা, তার সঙ্গেও অঙ্গুলির দৈর্ঘ্যের সম্পর্ক রয়েছে বলে দাবি গবেষকদের।
শতাধিক ব্যক্তির উপর করা এই গবেষণায় অঙ্গুলির দৈর্ঘ্য ছাড়াও বয়স, ওজন, উচ্চতা, বিএমআই প্রভৃতি বিষয়গুলির সঙ্গে পুরুষাঙ্গের দৈর্ঘ্যের সম্পর্ক খুঁজে দেখেছেন গবেষকরা। কেবলমাত্র আঙুলের দৈর্ঘ্য ও উচ্চতা ছাড়া আর কোনও বিষয়ের সঙ্গেই লিঙ্গের দৈর্ঘ্যের কোনও সম্পর্ক পাননি গবেষকেরা। তবে উচ্চতা কেবল শিথিল অবস্থায় লিঙ্গের দৈর্ঘ্যের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বলে মত তাঁদের। দৃঢ় অবস্থায় লিঙ্গের দৈর্ঘ্যের সঙ্গে এর কোনও যোগ নেই।
গবেষণার ফল বলছে, তর্জনী ও অনামিকার দৈর্ঘ্যের অনুপাত ও লিঙ্গের দৈর্ঘ্য ব্যস্তানুপাতিক সম্পর্কযুক্ত। গবেষকদের দাবি, তর্জনীর দৈর্ঘ্যকে অনামিকার দৈর্ঘ্য দিয়ে ভাগ করলে যে মান পাওয়া যায়, সেটিকে ২ডি-৪ডি অনুপাতিক মান বলে। গর্ভে থাকাকালীন কোনও ভ্রূণ কতটা টেস্টোস্টেরনের সংস্পর্শে আসছে, তা নির্ধারণ করে এই মান। টেস্টোস্টেরনের পরিমাণ যত বেশি হবে, এই মান তত কম হবে। ভবিষ্যতে লিঙ্গের দৈর্ঘ্য কেমন হবে, তাও ঠিক হয়ে যায় এই সময়েই। তবে গবেষকদের দাবি, এই বিষয়ে আরও গবেষণার অবকাশ রয়েছে। ফলে এই নিয়মের ব্যতিক্রম থাকাও অস্বাভাবিক নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy