মধুচন্দ্রিমায় পাহাড়-সমুদ্রের থেকেও গুরুত্বপূর্ণ উল্টো দিকের মানুষটি। ছবি: সংগৃহীত
বাঙালির শীতকাল মানেই অলিখিত বিয়ের মরসুম। বিসমিল্লার সানাই শুনতে শুনতে ভূরিভোজ ছাড়া যেমন বিয়ে সম্পূর্ণ হয় না, তেমনই মধুচন্দ্রিমা নিয়েও বর-কনের রোমান্টিকতার শেষ নেই। পাশাপাশি, জীবনসঙ্গীকে ঠিক ভাবে চিনে নেওয়ার জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মধুচন্দ্রিমা। জেনে নিন মধুচন্দ্রিমাকে মধুময় করার কয়েকটি মোক্ষম উপায়।
১। মনে রাখুন অন্য যে কোনও ভ্রমণের থেকে আলাদা মধুচন্দ্রিমা। কাজেই পরিকল্পনা করুন সময় নিয়ে। বিয়ের সঙ্গে সঙ্গেই মধুচন্দ্রিমা করতে গিয়ে তাড়াহুড়ো করে ফেলেন অনেকেই। অনেক সময়ে অফিসে ছুটি পাওয়া সমস্যা হয়ে দাড়ায়। খেয়াল রাখুন ভ্রমণে গিয়ে যেন সর্ব ক্ষণ ফেরার কথা চিন্তা করতে না হয়। সঠিক পরিকল্পনাতে খরচপাতি নিয়েও অযথা চিন্তা করতে হয় না।
২। কোথায় যাবেন, সেটা ঠিক করুন দু’জনে মিলেই। কারও পাহাড় ভাল লাগে, কারও সমুদ্র, কিন্তু মধুচন্দ্রিমায় পাহাড়-সমুদ্রের থেকেও গুরুত্বপূর্ণ উল্টো দিকের মানুষটি। কাজেই গন্তব্য বাছার সময়ে খেয়াল রাখুন, কোথায় গেলে দু’জনে একসঙ্গে কাটানোর মতো সময় বেশি পাবেন। প্রয়োজনে একই স্থানে একাধিক দিন থাকুন, তাড়াহুড়োর বদলে থাকুক গড়িমসি।
৩। ব্যাগ গোছানোর সময়ে সাহায্য করুন একে অন্যকে। সঙ্গীর পছন্দের পোশাক থেকে, প্রয়োজনীয় প্রসাধনী, গুছিয়ে দিন যত্ন করে। লুকিয়ে নিয়ে নিতে পারেন কোনও উপহার, যা চমকে দিতে পারে আপনার সঙ্গীকে।
৪। সময় নিন, সময় দিন। অনেক ক্ষেত্রেই নতুন মানুষের কাছে নিজেকে মেলে ধরতে আড়ষ্ট বোধ করেন কেউ কেউ। যদি সম্পর্ক পুরনোও হয়, সে ক্ষেত্রেও বিবাহ বন্ধন কিন্তু একটি নতুন ঘটনা। কাজেই পরস্পরকে সময় দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। উষ্ণতার চেষ্টা যেন সম্পর্ককে শীতল না করে দেয়।
৫। প্রতিটি সম্পর্ক স্বতন্ত্র। প্রতিটি সম্পর্কের একটি নিজস্ব ভাষা থাকে। নিজেদের সম্পর্কের ভাষা বুঝতে হবে নিজেদেরই। মনে রাখুন, বিয়ে মানেই সম্মতি নয়। মধুচন্দ্রিমা আগামী জীবন একসঙ্গে কাটানোর প্রতিশ্রুতিতে প্রথম পদক্ষেপ। তাই পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সম্মান যেন বৃদ্ধি পায় মধুচন্দ্রিমায়। কল্পনার সঙ্গে বাস্তবের মধুচন্দ্রিমা না-ই মিলতে পারে। কিন্তু তাতে যেন কোনও তিক্ততা তৈরি না হয়, খেয়াল রাখুন সেই দিকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy