বুড়ো বয়সের প্রেম! ছবি: শাটারস্টক।
বয়স সংখ্যামাত্র। প্রেমের সঙ্গে এর কোনও লেনদেন নেই। জেনিফা ও রে-এর গল্প সেই কথাই বলে। ১৮ বছর ধরে একাই আছেন বছর ৮০-এর জেনিফা। দু’বার বিয়ে করলেও সেই বিয়ে টেকেনি। তবে এই বয়সে এসেও এক সঙ্গীর খোঁজ করছিলেন তিনি। অনেক পুরুষের সঙ্গেই আলাপ হয়েছে তাঁর। কিন্তু কেউ-ই তেমন মনে ধরেনি জেনিফা-র। অবশেষে জেনিফা খুঁজে পেলেন মনের মানুষ। পাত্র বছর ৮৫-এর রে।
‘ব্লাইন্ড ডেটে’-এ গিয়ে রে-র সঙ্গে আলাপ হয় জেনিফা-র। তাঁর বয়স সম্পর্কে একটা ধারণা থাকলেও তাঁকে দেখতে কেমন সে বিষয় কোনও ধারণাই ছিল না জেনিফা-র। প্রথম দেখাতেই জেনিফা রে-র প্রেমে পড়ে যান। রে-এর পোশাক, তাঁর কথা বলার ধরন— সবটাই মনে ধরে জেনিফার।
বছর আটেক আগে রে-র স্ত্রী মারা যান। ‘ব্লাইন্ড ডেটে’-এ গিয়ে বন্ধু বানাতে বেশ ভালই লাগে তাঁর। প্রচুর বন্ধু হয়েছে তাঁর, তবে কেউই এত দিন সে ভাবে মনে ধরেনি। প্রথম দেখায় জেনিফাকে দেখে তাঁর মনেই হয়নি তার বয়স ৮০। প্রথম দেখাতেই মনে ধরে জেনিফা-র। কথা বলে আরও মুগ্ধ হন রে।
প্রথম আলাপেই তাঁরা ঠিক করে নেন যে, একে অপরের সঙ্গেই বাকি জীবনটা কাটাতে চান তাঁরা।
বার্ধ্যকেও কিন্তু সঙ্গীর প্রয়োজন হয়। অল্প বয়সে সঙ্গীহারা হলে আমরা সঙ্গীর খোঁজ করলেও বৃদ্ধ বয়সে কিন্তু আমরা আমাদের বাবা-মায়ের জন্য আর সঙ্গীর খোঁজ করিনা। নিজেদের জীবনে ব্যস্ত হয় পড়ে আমরা তাঁদের খোঁজ নিতেই ভুলে যাই। তাঁরা যদি সঙ্গী খুঁজতে চান, তা হলে ক্ষতি কি? প্রেমের কোনও বয়স হয় নাকি! একে অপরের পাশে থাকার নামই তো প্রেম!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy