প্রতীকী ছবি।
আশির দশক। ববিতা এবং রণধীর কপূরের বিচ্ছেদ নিয়ে চর্চায় তখন চারদিক ছয়লাপ। ববিতা দুই সন্তান, করিশমা-করিনাকে নিয়ে লোখন্ডওয়ালার একটি আবাসনে থাকতে শুরু করলেন। রণধীর চলে গেলেন নিজের পৈর্তৃক বাড়ি চেম্বুরে। দু’জনের সম্পর্কের অবনতির কারণ অবশ্য স্পষ্ট করে কিছু জানা যায়নি। পারস্পরিক মনোমালিন্য থেকেই আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলে ধরে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই দূরত্ব বেশি দিন টেকেনি। দেরিতে হলেও আবার এক ছাদের তলায় থাকতে শুরু করেন দু’জনে। বলিপাড়ায় এমন উদাহরণ বেশি নেই। ২০০৭ সালে ববিতা এবং রণধীর আবার একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন। কোন জাদুকাঠির ছোঁয়ায় টুকরো হয়ে যাওয়া সংসার আবার জোড়া লাগল, তা অবশ্য আড়ালেই রয়েছে।
বিবাহ বিচ্ছেদের পর আবার নতুন করে সম্পর্কের সংজ্ঞা তৈরি করা সহজ নয়। কিন্তু এমন যে হয় না, তা নয়। ভাঙন যতটা নজরে পড়ে, জুড়ে যাওয়ার বিষয়টি অনেক সময়ে আড়ালে থেকে যায়। সম্পর্কের জটিলতায় অনেক সময়ে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিতে হয় বটে। কিন্তু দূরে সরে যাওয়ার পর অনেকের আবার কাছে আসার কথাও মনে হয়। সেটা কিন্তু খুব কঠিন নয়। কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখলেই বিচ্ছেদের পরেও আবার নতুন করে শুরু করা যায়।
সঙ্গীর সঙ্গে খোলাখুলি কথা বলুন
সম্পর্ক এবং সংসার দু’জনের। তাই নতুন করে শুরু করতে হলে দু’জনেরই সমান সম্মতি প্রয়োজন। কোনও এক জনের যদি মনে হয় ফিরে যাওায়ার কথা, তা হলে তা চেপে না রেখে বরং সঙ্গীর কাছে প্রকাশ করে ফেলুন। সঙ্গীকে ভাবতে সময় দিন। সঙ্গীর কী মত, সেটা জানুন। যদি দু’জনের সম্মতি থাকে, তা হলে ভেঙে যাওয়া সম্পর্কের টুকরোগুলি নতুন করে জুড়ে নিন।
আগের ভুলগুলি থেকে শিক্ষা নিন
ঠিক কোন কারণে সম্পর্ক ভাঙনের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে, সেগুলি এক বার ফিরে দেখুন। যে ভুলগুলি জ্ঞানত অথবা অজ্ঞানত করে ফেলেছেন, নতুন করে শুরু করার আগে সেগুলি নিয়ে সতর্ক থাকুন। একই ভুল বার বার করা বাঞ্ছনীয় নয়।
সম্পর্কে ধৈর্য রাখুন
অস্থিরতা যে কোনও সমস্যার মূল কারণ। তাই একেবারেই অস্থির হবেন না। সম্পর্ক এবং তার বিচ্ছেদ, দুয়েরই অভিজ্ঞতা হয়েছে। তাই সব সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে একটু অভিজ্ঞতাগুলি ঝালিয়ে নিন। নিজের উপর এবং সম্পর্কের উপর ধৈর্য রাখুন।
নিজের কাছে সৎ থাকুন
যে কোনও সম্পর্কে এটা খুবই জরুরি বিষয়। শুধু সঙ্গীর ক্ষেত্রে নয়, সৎ থাকতে হবে নিজের কাছে। আপনি কী করছেন, কী ভাবছেন, তার একটি স্পষ্ট রেখাচিত্র সঙ্গীকেও দেওয়া উচিত। তা হলে দু’জনের পারস্পরিক বোঝাপড়া আরও বেশি মজবুত হবে।
অনুশোচনা হওয়া জরুরি
সম্পর্কের বিচ্ছেদের নেপথ্যে কি আপনার কোনও ভূমিকা ছিল? পরিস্থিতির আতিশায্যে তখন বুঝতে পারেননি, কিন্তু এখন কি নিজের ভুল বুঝতে পেরেছেন? যদি বুঝে থাকেন এবং অনুশোচনা হয়ে থাকে, তা হলেও নতুন করে একসঙ্গে পথ হাঁটার কথা ভাবা যেতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy