শাহিদ কপূরের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর সইফ আলি খানের প্রেমে পড়েছিলেন করিনা কপূর। ছবি: সংগৃহীত।
জীবনের বাঁকে কখন মানুষকে ভাল লেগে যায়, তা আগে থেকে বলা মুশকিল। তবে কাউকে মনে ধরলেও, অনেক সময় অনেকেই বুঝে উঠতে পারেন না, ঠিক কী কী বিষয় মাথায় রাখলে সম্পর্ক সুন্দর হবে।
বিশেষ করে এক বার বিচ্ছেদ হলে নতুন করে সম্পর্কে জড়াতে অনেকেই ভয় পান। প্রাক্তনের স্মৃতি ভুলে ফের জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করতে ইচ্ছে করলেও মনে অজানা আতঙ্ক কাজ করে।
সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে কোন কোন বিষয়গুলিতে নজর দেওয়া জরুরি, সেটাও বুঝে ওঠা সব সময় সম্ভব হয় না। তবে এ-ও সত্যি, কিছু কিছু ধারণা মনে পুষে রাখেন অনেকে, যা নতুন সম্পর্কেও প্রভাব ফেলে, বেরিয়ে আসতে হবে সেই সব ধারণা থেকে। তেমন কোন কোন ধারণাকে ঝেড়ে ফেলতে হবে মন থেকে, জেনে নিন।
প্রত্যেকটি মানুষ আলাদা
কোনও সম্পর্ক ভেঙে গেলে নতুন সম্পর্কে জড়ানোর পরও প্রথম সম্পর্কের ‘হ্যাং ওভার’ কিছুতেই কাটে না অনেকেরই। আগের মানুষটি বিশ্বাস ভাঙলে নতুন মানুষটিকে অবিশ্বাস করতে শুরু করেন অনেকেই। সে সব নিয়ে নতুন সম্পর্কে জটিলতা বাড়ে। এই মানসিকতা কিন্তু ঠিক নয়, প্রতিটি মানুষ স্বতন্ত্র। সকলেরই আলাদা আলাদা চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য আছে। ফলে প্রথম থেকেই এত কিছু না ভেবে, স্বাভাবিক ভাবেই সম্পর্ক এগোতে দিন। জীবনে আসা নতুন মানুষটিকে খানিকটা সময় দিন, আগে থেকেই তাঁর বিষয়ে মনে কোনও ধারণা তৈরি করে নেবেন না।
তাড়াহুড়ো নয়
আগে হয়তো সাত-পাঁচ কিছু না ভেবেই গভীর সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। অবশ্য প্রেমে পড়লে অত কিছু ভাবনার অবকাশও থাকে না। দ্বিতীয় বার কিন্তু একটু সতর্ক হওয়া জরুরি। সম্পর্ক নিয়ে তাড়াহুড়ো নয়। ধীরে-সুস্থে এগোনোই ভাল। আগে সঙ্গীকে ভাল করে চিনে নিন। তার পর না হয়ে পরবর্তী ধাপে যাবেন। বার বার সম্পর্ক ভাঙার চেয়ে একটু ভেবেচিন্তে সময় নিয়ে তার পরেই সম্পর্ক তৈরি করুন। তাকে লালন করুন।
স্বচ্ছ থাকুন সম্পর্কে
সম্পর্কে স্বচ্ছ থাকা ভীষণ জরুরি। প্রয়োজনে আগের কোনও ভুল বা অপরাধ অকপটে শিকার করুন। যে মানুষটি সারা জীবন আপনার সঙ্গে থাকবেন, তাঁর কাছে পুরনো সম্পর্কের কথাও গোপন করা উচিত নয়। অনেকেই ‘হারানোর’ ভয়ে গোপন করেন অনেক কিছু। সে ক্ষেত্রে মনে রাখবেন, পরে সবটা জানাজানি হলে কিন্তু সম্পর্কের জটিলতা বাড়বে। সঙ্গী যদি আপনাকে সত্যিই ভালবাসে, তা হলে অতীতের আঁচ নতুন সম্পর্কে তিনি মোটেই পড়তে দেবেন না।
সময় দিন
অনেক সম্পর্ক টেকে না শুধুমাত্র একে অপরকে সময় না দিতে পারার জন্য। এ ভুল আর নয়। সময় দিন প্রিয় মানুষটিকে। মনোমালিন্যের সময়ও একসঙ্গে বসে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করুন। মুখোমুখি বসার অবসর ও আলোচনা অনেক সমস্যা মিটিয়ে দেয়। অনেকেই মতবিরোধ নিয়ে আলোচনা করতে চান না, এতে কিন্তু সমস্যা আরও বাড়ে। একে অপরকে সময় দিলে কথাবার্তার সুযোগ বাড়ে, সমস্যাও মিটে যায়। দিনের একটা নির্দিষ্ট সময় কাছের মানুষটির জন্যই বরাদ্দ রাখুন। চেষ্টা করুন সমস্যাটি দিনের দিন মিটিয়ে নিতে, বাড়তে না দেওয়াই ভাল।
যত্নে রাখুন প্রিয়জনকে
চারাগাছ যেমন একটু যত্ন চায়, মানুষের সম্পর্কও তেমন। তাই যত্ন নেওয়ার অভ্যাস না থাকলে আয়ত্তে আনুন তাকে। প্রিয়জনকে আপনি কতটা ভালবাসেন, সেই কথা মাঝেমাঝে বোঝানোও দরকার। ভালবাসার প্রকাশটাও জরুরি। তার টুকটাক প্রয়োজনের খেয়াল রাখা, মাঝেমধ্যে তাঁকে একটু ‘সারপ্রাইজ়’ দেওয়া, একটা ‘ডেটের’ পরিকল্পনা— এই ছোট ছোট পদক্ষেপগুলিই যথেষ্ট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy