মদের দোকান খুলছে মধ্যপ্রাচ্যে। ছবি: সংগৃহীত।
ইসলাম ধর্মে যে কোনও ধরনের নেশাকেই ‘হারাম’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তাই সৌদি আরবে মদ নিষিদ্ধ। তবে অ-মুসলমান বহু মানুষই বসবাস করেন সেই দেশে। তাঁদের কথা মাথায় রেখেই দেশের রাজধানী রিয়াধ শহরে এই প্রথম মদের দোকান খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সৌদি আরবের যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমন। তবে মদের দোকান থেকে মদ কিনতে পারবেন শুধু মাত্র অ-মুসলমান কূটনীতিকরাই। বুধবার এই সংক্রান্ত একটি বিবৃতি পেশ করা হয়েছে।
সেই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মদ কিনতে গেলে আগে সেই দেশের সরকার প্রদত্ত নির্দিষ্ট মোবাইল অ্যাপে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন বা নাম নথিভুক্ত করাতে হবে। এর পর পররাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে ক্লিয়ারেন্স কোড আসবে। সেই কোড পেলে তবেই নির্দিষ্ট পরিমাণ মদ কিনতে পারবেন অ-মুসলমান কূটনীতিকরা। জানা গিয়েছে, রিয়াধ শহরের যে অঞ্চলে কূটনীতিকদের আনাগোনা বেশি, যেখানে বিভিন্ন দেশের দূতাবাস রয়েছে, সেখানেই খোলা হবে মদের দোকানটি। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই দোকানটি চালু হবে বলে সূত্রের খবর।
সৌদি আরবের মতো অতিরিক্ত রক্ষণশীল, মুসলমান অধ্যুষিত দেশে মদ খাওয়া অপরাধ। মদ্যপান রুখতে কঠোর আইন রয়েছে। ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী কেউ মদ্যপান করলে তাঁকে কঠোর সাজা দেওয়ার রেওয়াজ রয়েছে। লুকিয়ে মদ্যপান করেছেন যাঁরা, এমন মানুষদের দেশ থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার কথাও শোনা যায়। তা সত্ত্বেও বিদেশি অ-মুসলমান কূটনীতিকেরা গোপনে, কালোবাজার থেকে মদ কিনতেন। সেই দেশে এমন একটি পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে প্রশংসাযোগ্য। ব্যবসা এবং পর্যটনে জোয়ার আনতেই যুবরাজের এমন সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। তবে অ-মুসলমান সাধারণ নাগরিকেরা ওই দোকান থেকে মদ কিনতে পারবেন কি না, সেই বিষয়ে খোলসা করে কিছু জানানো হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy