Advertisement
১৯ জুন ২০২৪

সাদা তেল বলে কিছু নেই

সাদা তেল ভাল, না কি সর্ষের তেল— এই নিয়ে মাথাব্যথার শেষ নেই। তেল খেলেই হার্টের অসুখ বাধবে, কোলেস্টেরল চড়বে, অতএব তেল থেকে সাবধান। স্বাস্থ্য সচেতন অনেকে তেলের ধার ধারেন না। অন্য দিকে তেলের রকমারি বিজ্ঞাপন বলছে, অমুক তেল স্বাস্থ্যকর, হার্টের জন্য উপকারী, এত হাল্কা যে লুচি খেলেও তেল লাগবে না। কিন্তু সত্যিটা কী? কোন তেল ভাল আর কোনটা নয়? আদৌ কী তেল খাওয়া উচিত? জানাচ্ছেন রুমি গঙ্গোপাধ্যায়। সাদা তেল ভাল, না কি সর্ষের তেল— এই নিয়ে মাথাব্যথার শেষ নেই। তেল খেলেই হার্টের অসুখ বাধবে, কোলেস্টেরল চড়বে, অতএব তেল থেকে সাবধান। স্বাস্থ্য সচেতন অনেকে তেলের ধার ধারেন না। অন্য দিকে তেলের রকমারি বিজ্ঞাপন বলছে, অমুক তেল স্বাস্থ্যকর, হার্টের জন্য উপকারী, এত হাল্কা যে লুচি খেলেও তেল লাগবে না। কিন্তু সত্যিটা কী? কোন তেল ভাল আর কোনটা নয়? আদৌ কী তেল খাওয়া উচিত? জানাচ্ছেন রুমি গঙ্গোপাধ্যায়।

শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০১৫ ১১:২১
Share: Save:

তেল মানেই ক্ষতিকারক নয়

ক্লিনিকাল ডায়টেশিয়ান অর্পিতা ঘোষ দেব জানাচ্ছেন, রোজকার খাবারে তেলের দরকার রয়েছে। ফ্যাটের ভয়ে অনেকে তেল খান না। কিন্তু ত্বকের গঠনের জন্য দরকার লিপিড অর্থাৎ ফ্যাটি অ্যাসিড। বিভিন্ন হরমোন ফ্যাট থেকেই তৈরি হয়। ভিটামিন ‘এ’, ‘ডি’, ‘ই’, ‘কে’ ফ্যাট সলিবল। ফ্যাট না থাকলে এ সব ভিটামিন লিভারে শোষিত হয় না। ফ্যাট খাবারের স্বাদ বজায় রাখে। তেল না হলে খাবার বিস্বাদ লাগে। বিস্বাদ খাবার হজম হয় না।

কোন তেল খাবেন

সাদা তেল আর সর্ষের তেল নিয়ে বিবাদ অমূলক। সাদা তেল বলে কিছুই নেই। সাদা রঙের তেল হোক বা সোনালী সর্ষে—সবই রিফাইন্ড ভেজিটেবল অয়েল। আসলে তেলে থাকে দুই ধরনের ফ্যাটি অ্যাসিড—স্যাচুরেটেড, ও অ্যানস্যাচুরেটেড। অ্যানস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড দুই রকম—পুফা ও মুফা। পুফা আবার দুই রকম—ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ও ওমেগা সিক্স ফ্যাটি অ্যাসিড।

সেই তেলই ভাল যাতে মুফা বেশি থাকে, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ও ওমেগা সিক্স ফ্যাটি অ্যাসিডের অনুপাত ১০ এর নীচে থাকে।

ভারতীয় রান্নার জন্য সর্ষের তেল, বাদাম তেল, বা রাইসব্রান অয়েল ভাল। শুধু সূর্যমুখী বা সাফোলা ভাল না। কারণ এগুলোতে মুফা কম, পুফা খুব বেশি। এই তেলে তাড়াতাড়ি অক্সিডেশন হয়ে শরীরে ক্ষতিকারক ফ্রি-র‌্যাডিকলস তৈরি হয়।

কতটা তেল

কতটা তেল খাচ্ছেন, সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রোজ যত ক্যালোরি দরকার তার ৩০%-এর কম যেন ফ্যাট থেকে আসে। দিনে চার থেকে ছয় চামচ তেল খেতে পারেন। অর্থাৎ ২০ থেকে ৪০ মিলিলিটার। ওজন বেশি হলে বা ডায়বেটিক হলে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা হতে পারে। মেপে তেল খেলে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা কমে যায়।

জেনে রাখুন

কন্টিনেন্টাল রান্নার জন্য অলিভ অয়েল ভাল। কিন্তু ভারতীয় রান্নার জন্য নয়। কারণ এই তেলের স্মোকিং পয়েন্ট কম। পোড়া তেল শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। কারণ বার বার তেল পুড়লে রাসায়ানিক গঠন পরিবর্তিত হয়ে ইরুসিক অ্যাসিড তৈরি হয়। যা থেকে হার্টের ক্ষতি হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE