Advertisement
১৬ মে ২০২৪
Travel Tips

৫ বিষয়: মাথায় রাখলেই অভিনেত্রী ঋদ্ধিমার মতো মাস দুয়েকের খুদেকে নিয়ে বিমানে উঠতে পারেন

একটা সময় ছিল, যখন মাস ছয়েক বয়স না হওয়া পর্যন্ত শিশুদের নিয়ে বাইরে বেরোতে ভয় পেতেন বাবা-মায়েরা। এখন যুগ বদলেছে। ঋদ্ধিমা, গৌরবের মতো অনেকেই সদ্যোজাতদের নিয়ে বাইরে ঘুরতে যেতে চান।

Ridhima Chakraborty.

মায়ের সঙ্গে আকাশপথে পাড়ি দিয়েছে ধীর। ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০২৩ ১৯:৫৬
Share: Save:

মা-বাবার পায়ের তলায় সর্ষে। চার দেওয়ালের মধ্যে তাঁদের বেশি দিন আটকে রাখা মুশকিল। তাই পৃথিবীর আলো দেখার মাস দুয়েকের মধ্যেই মায়ের কোলে চেপে বিমানে উঠে পড়েছে সে। চলতি বছর সেপ্টেম্বর মাসে ধরাধামে অবতীর্ণ হয়েছে অভিনেত্রী ঋদ্ধিমা ঘোষ এবং অভিনেতা গৌরব চক্রবর্তীর পুত্রসন্তান ধীর। এই ক’দিনের মধ্যেই জগৎটাকে দেখবে বলে মায়ের সঙ্গে বীরপুরুষের মতো পাড়ি দিয়েছে আকাশপথে। একটা সময় ছিল, যখন মাস ছয়েক বয়স না হওয়া পর্যন্ত শিশুদের নিয়ে বাইরে বেরোতে ভয় পেতেন বাবা-মায়েরা। এখন যুগ বদলেছে। ঋদ্ধিমা- গৌরবের মতো অনেকেই সদ্যোজাতদের নিয়ে বাইরে ঘুরতে যেতে চান। কিন্তু, খুদের অসুবিধার কথা ভেবেই বাড়ির বড়রা আপত্তি জানান। তবে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখলেই বিমানযাত্রা সহজ হতে পারে।

১) প্রথমেই খুব দূরে যাত্রা করবেন না। একান্ত যদি বিদেশে যেতেই হয়, সে ক্ষেত্রে দীর্ঘ পথ অতিক্রম করতে বিস্তর সময় লাগে। মাঝে আবার বিমানও পাল্টাতে হয়। এই যাতায়াতের ধকল সামলাতে বড়রাই অনেক সময়ে হিমশিম খেয়ে যান। ছোটদের যে সমস্যা হবে, সে কথা বলাই বাহুল্য। তবে বুদ্ধি করে খুদের ঘুমের এবং খাওয়ার সময় বুঝে সেই অনুযায়ী বিমানের সময় বেছে নিন। সে ক্ষেত্রে শিশুর উপর ততটা প্রভাব পড়বে না বলেই মনে হয়।

২) ঝাড়া হাত-পায়ে থাকবেন বলে সমস্ত ব্যাগ, মালপত্র ‘মেন লাগেজ’-এ পাঠিয়ে দিলে কিন্তু হবে না। হঠাৎ যদি খুদের ডায়াপার পাল্টাতে হয়, ওয়েট টিস্যু প্রয়োজন হয়, চাইলেও সে সব পাবেন না। তাই শিশুর কাজে লাগে, এমন জিনিসপত্র ‘হ্যান্ড লাগেজ’ হিসাবে নিজের কাছে রাখার চেষ্টা করুন।

৩) মাস দুয়েকের শিশু হাঁটতে পারে না। বেশির ভাগ সময়ে মা-বাবার কোলেই ঘুরতে হয় তাকে। তাই সারা ক্ষণ তার এবং সঙ্গে থাকা মালপত্রের ভার বইতে গেলে কষ্ট হতে পারে। বেড়াতে গিয়ে কোথায় কী পাওয়া যাবে আর কী পাওয়া যাবে না, সে কথা ভেবে গোটা বাড়িটাকেই সঙ্গে তুলে আনার চেষ্টা না করাই ভাল।

৪) শহরের বাইরে বেরোলেই অনেক সময় চেনা ওষুধ পাওয়া যায় না। বিদেশে যদি না পাওয়া যায়, তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। একই রকম অন্য ওষুধ খেয়ে নেওয়ার ঝুঁকি বড়রা নিতে পারলেও ছোটদের জন্য তা একেবারেই ঠিক নয়। তাই খুদের প্রয়োজনে লাগে, এমন সব ওষুধ সঙ্গে রাখুন।

৫) যেখানেই যান না কেন, হাতে সময় নিয়ে বেরোন। যাতায়াতের ক্লান্তি, ঠিক সময়ে বিমান ধরার উদ্বেগ এড়াতে ধীরেসুস্থে যাত্রা করুন। তা বলে আবার এত আগে বাড়ি থেকে বেরোবেন না যে বসে থাকতে থাকতে নিজেদেরই কোমর ধরে যায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE