নতুন সম্পর্কের পর প্রথম পুজো নিয়ে উত্তেজিত অহনা। ছবি: সংগৃহীত।
পুজোর ঢাকে কাঠি পড়তে বাকি আর ১৮ দিন। উৎসবের পর্ব প্রায় শুরু হয়ে গিয়েছেই বলা চলে। উদ্যাপনের প্রস্তুতিও তুঙ্গে। উৎসবের স্রোতে গা ভাসিয়ে দিতে তৈরি বাঙালি। শহর থেকে শহরতলি আলোর রোশনাইয়ে ঢেকে যাচ্ছে ধীরে ধীরে। সাধারণ মানুষ থেকে পর্দার তারকা, কাজের ফাঁকেই পুজোর চারটি দিনের পরিকল্পনা সেরে নিচ্ছেন। টলিপাড়ার নতুন মুখ অহনা দত্ত। তিনি পর্দার ‘খলনায়িকা’। পুজোর আগে ধারাবাহিকের শুটিং চলছে জোরকদমে। তবে তার মধ্যেই পুজোর চারটি দিনের পরিকল্পনা সেরে নিচ্ছেন তিনি।
উদ্বোধন, ফিতে কাটা, মাচার শো, স্টে শো— পুজোর সময়েও তারকাদের ব্যস্ততার শেষ থাকে না। তবে অনুরাদের ছোঁয়া ধারাবাহিকের ‘মিশকা’ কিন্তু পুজোয় কোনও কাজ রাখতে পছন্দ করেন না। পুজোর চারটি দিন তিনি শুধু উৎসবে মেতে থাকতে চান। কোনও কাজ রাখতে চান না। অহনার কথায়, ‘‘সারা বছর তো কাজের চাপ থাকে। সেই সঙ্গে শো তো আছেই। কিন্তু পুজোর সময়ে আমি আর কোনও কাজ রাখতে চাই না। এই চারটি দিন শুধু নিজের মতো করে কাটাব। বিভিন্ন প্যান্ডেলে গিয়ে দুর্গামাকে নানা রূপে দেখব। পুজোটা এ ভাবে কাটাতে চাই আমি।’’
অহনা কি ঠাকুর দেখতে যেতে ভালবাসেন? অহনার কথায়, ‘‘হ্যাঁ। আগে খুব ঠাকুর দেখতে যেতাম। কিন্তু মিশকা হয়ে ওঠার পর পুজোটা একটু অন্য রকম হয়ে গিয়েছে। এখন আর আগের মতো বেরিয়ে ঠাকুর দেখতে পারি না। আসলে সবারই তো ধারাবাহিকের অভিনেতাদের নিয়ে একটা উৎসাহ থাকে। ফলে সামনে দেখতে পেলে অনেকেই খুব উৎসাহী হয়ে পড়েন। কথা বলতে আসেন। সে সব অবশ্য বেশ ভালই লাগে।’’
শরতের আকাশে প্রেমের গন্ধ। অহনার জীবনেও প্রেম পর্ব বেশ রঙিন এবং চর্চিতও। মেয়ের সম্পর্ক নিয়ে খুশি নন, কয়েক দিন আগেই তা নিয়ে সমাজমাধ্যমে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন অহনার মা। প্রেমিকের সঙ্গে অন্যত্র থাকেন অহনা। মেয়ের লিভ-ইন সম্পর্কে সিলমোহর দেননি, সে কথা লিখেছিলেন তিনি। এই ঘটনার পর কেটে গিয়েছে বেশ কয়েকটি মাস। অহনার সমাজমাধ্যম ঘাঁটলেই বোঝা যায়, সম্পর্ক নিয়ে তিনি যারপরনাই খুশি। কিছু দিন আগেই দু’জনে দু’জনের নাম ট্যাটু করিয়েছেন নিজেদের হাতে। প্রেমিকের সঙ্গে কী পরিকল্পনা পুজোয়? অহনার সলজ্জ জবাব, ‘‘মা আমাদের সম্পর্কটা মেনে নেননি। সেটা আমাদের একটা দুঃখের জায়গা তো বটেই। তবে সম্পর্কে আসার পর এটা আমাদের প্রথম পুজো। এর আগের বার পুজোতে প্রেমটা এতটা জমেনি। ফলে এই পুজোটা একটু বেশি স্পেশ্যাল আমার কাছে। তাই কোনও মনখারাপ রাখতে চাই না। ঠাকুর দেখতে যাব। রং মিলিয়ে জামা পরার ইচ্ছা রয়েছে। দেখা যাক কত দূর কী হয়।’’ প্রেমের পর প্রথম পুজো বলে কথা। একে অপরকে কী উপহার দেওয়া হল? অহনার কথায়, ‘‘দীপঙ্কর (অহনার প্রেমিক) শাড়ি, সালোয়ার মিলিয়ে মোট বারোটা নতুন পোশাক কিনে দিয়েছে। আমার শপিংটা হয়ে গিয়েছে মাসখানেক আগেই। কিন্তু ওঁর কেনাকাটা এখনও পুরো হয়নি। পাঞ্জাবি, শার্ট দিয়েছি। তবে এখনও আরও কিছু কেনা বাকি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy