ফেলে আসা ঠিকানায় ফিরলেন অঙ্কুশ। ছবি: সংগৃহীত।
১৪ এপ্রিল, পয়লা বৈশাখের দিন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে চলেছে অঙ্কুশ এবং ঐন্দ্রিলার নতুন ছবি ‘লাভ ম্যারেজ’। এর আগে রাজা চন্দ পরিচালিত ‘ম্যাজিক’ ছবিতে দু’জনকে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল। নতুন ছবি মুক্তির আগে তাই প্রচার নিয়ে বেজায় ব্যস্ত নায়ক-নায়িকা। ‘ঠাকুরমার আদর’ নামে একটি প্রতিযোগিতা শুরু করেছেন। রবিবার অঙ্কুশ আর ঐন্দ্রিলা, সেই প্রতিযোগিতার বিজয়ীর বাড়ি দুর্গাপুরে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে জমিয়ে ভূরিভোজের পর সন্ধ্যায় ফেরার পথে বর্ধমানের কার্জনগেটের পাশে গাড়ি নিয়ে একটি পেট্রোল পাম্পে দাঁড়ান তাঁরা।
অঙ্কুশ বর্ধমানের ছেলে। এই শহরেই তাঁর ছোটবেলা কেটেছে। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে এখনও বর্ধমানের কথা বলেন তিনি। তাই চেনা মাটির গন্ধ পেয়ে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন। পুরনো স্মৃতির কাছে ফিরতে ঢুকে পড়েন পাম্পের পাশে একটি শরবতের দোকানে। ভর সন্ধ্যায় বড় পর্দার জনপ্রিয় নায়ক-নায়িকাকে দেখে আবেগবিহ্বল হয়ে পড়েন দোকানের মালিক ধনুক কুমার সাউ। অঙ্কুশ আবার তাঁর ছেলে রিকি সাউয়ের বন্ধু। রিকি আর অঙ্কুশ ছোটবেলায় একসঙ্গে খেলাধুলা করতেন। রিকির কথায়, ‘‘আমরা এক পাড়া অর্থাৎ বাদামতলার লোক। অঙ্কুশ আর আমি একসঙ্গে বহু ক্রিকেট ম্যাচ খেলেছি। ও আমাদের গর্ব।’’
অঙ্কুশ এমনিতে ফিটনেস সচেতন। সেদ্ধ চিকেন আর সব্জির বাইরে তিনি বিশেষ কিছু খান না। তবে এ দিন নিজের জায়গায় ফিরে জমিয়ে লস্যির স্বাদ নিয়েছেন অঙ্কুশ। দোকানের মালিক ধনুক বলেন, ‘‘আমার দোকানে লস্যি নামকরা। নানা রকম শরবত পাওয়া যায়। অঙ্কুশের কাছে জানতে চেয়েছিলাম কোনটা খেতে চান। অঙ্কুশ নিজেই লস্যি খেতে চেয়েছেন আমার কাছে।’’ শরবতের দোকানেক উল্টো দিকেই তৃণমূলের পার্টি অফিস আছে। সেই সময়ে সেখানে উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস। তাঁর অনুরোধে অঙ্কুশ সেখানেও যান। উপস্থিত কর্মীদের সঙ্গেও কথা বলেন। তবে দ্রুত কলকাতা ফিরতে হত। হাতে সময় কম থাকায় বেশি ক্ষণ থাকতে পারেননি। তবে আবার আসবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন অঙ্কুশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy