মাত্রাতিরিক্ত কম্পিউটার ব্যবহারে অনেক রকম শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। চিকিত্সকরা বলছেন, সাধারণত ৪ ঘণ্টা বা তার বেশি কম্পিউটারে সময় কাটালে শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
কী কী সমস্যা দেখা দিতে পারে? প্রতিকারের উপায়ই বা কী? এক নজরে দেখে নেওয়া যাক।
সমস্যা
১) পেশির সমস্যা। যাঁরা বেশি কম্পিউটার ব্যাবহার করেন তাঁরা প্রায়ই এই সমস্যায় ভোগেন। বসার অবস্থান যদি ঠিক না হয় তা হলে পিঠের ব্যথা, কোমরে ব্যথার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
প্রতিকার
চেয়ার এবং কম্পিউটার টেবল এমন ভাবে রাখতে হবে যাতে মনিটরের স্ক্রিন আপনার চোখের সমানে বা একটু নীচুতে থাকে।
মেরুদণ্ড সোজা করে বসতে হবে।
পা দু’টোকেও সোজা ছড়িয়ে রাখতে হবে। ফলে পেশিতে টান ধরবে না।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে উঠে হাঁটতে হবে।
সমস্যা
২) ঘাড়, আঙুল এবং কাঁধে ব্যথা। অনেক ক্ষণ মাউস ধরে কাজ করলে আঙুলে রক্তসঞ্চালন কম হয়। ফলে আঙুলে ব্যথা অনুভব করতে পারেন। কাঁধের পেশিতেও ব্যথা হতে পারে। কব্জি ও আঙুলে কার্পাল টানেল সিনড্রোম দেখা দেওয়ার প্রবণতা বাড়ে।
প্রতিকার
মাউসটাকে কি-বোর্ডের পাশে এমন ভাবে রাখতে হবে যাতে পুরো হাতটা নড়াচড়া করতে পারে। শুধু কব্জি নাড়ালে হবে না। টাইপ করার সময় কব্জিকে একটা নির্দিষ্ট জায়গায় না রেখে কাজ করাই ভাল।
যখন টাইপ করবেন না, হাতটাকে স্ট্রেচ করুন।
সমস্যা
৩) চোখের সমস্যা।
প্রতিকার
এক দৃষ্টে স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকবেন না। চোখ দু’টো মাঝে মাঝে খোলা-বন্ধ করুন। স্ক্রিনের উজ্জ্বলতা কমিয়ে কাজ করুন। যাতে চোখের উপর বেশি চাপ না পড়ে।
স্ক্রিন থেকে চোখের একটা নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখুন।
সমস্যা
৪) মাথা যন্ত্রণা। মাথা ও ঘাড়ের পেশি ঠিক মতো সঞ্চালন না হলে মাথা যন্ত্রণা করতে পারে। প্রতি দিন অনেক ক্ষণ ধরে কম্পিউটারের সামনে বসে থাকলে চোখের সমস্যা থেকে মাথা ব্যথাও হতে পারে।
প্রতিকার
নিয়মিত চোখের চেকআপ করান। ঘাড় গুঁজে কাজ না করাই ভাল। ঘাড় সোজা রেখে কাজ করার চেষ্টা করুন।
সমস্যা
৫) স্থূলতা। শরীর নড়াচড়া না করলে ফ্যাট জমতে শুরু করবে।
প্রতিকার
বিশেষ করে বাচ্চাদের একটা নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিতে হবে গেম খেলার জন্য। তাদের আউটডোর গেমে উত্সাহিত করতে হবে বাবা-মাকে।
বড়রা যাঁরা দিনে ৭-৮ ঘণ্টা কম্পিউটারে সময় কাটান কাজে শেষে বাড়ি ফিরে শরীরকে বিশ্রাম দিন।
সমস্যা
৬) অতিরিক্ত কাজের চাপ। প্রযুক্তি আমাদের শরীর ও মনের উপর যথেষ্ট প্রভাব ফেলে। দীর্ঘ ক্ষণ কম্পিউটার ব্যবহারীদের স্বাস্থ্য ভেঙে যাওয়ার প্রবণতা দেখা দিতে পারে।
প্রতিকার
চাপ যাতে আপনাকে গ্রাস করতে না পারে তার জন্য আগে থেকেই সতর্ক হতে হবে। চাপের কাছে নতিস্বীকার করলে হবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy