লড়ে যাওয়ার মানসিকতা তাঁর আজীবনের। ছবি: সংগৃহীত
বয়স ৫৭। টানটান, নির্মেদ, পেশিবহুল চেহারা। চোখমুখে আত্মবিশ্বাস উপচে পড়ছে। নিজের কাজের প্রতি অধ্যবসায়ের লড়াইয়ে অনেককেই টক্কর দিতে পারেন তিনি। নয়তো বছর চারেক পর পর্দার ‘পাঠান’ হয়ে উঠতে দিনরাত এক করে কেন পরিশ্রম করবে তিনি? কারণ তিনি বলিউডের ‘বাদশা’ শাহরুখ খান। ২০২৩-এ প্রথম দিকে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে ‘পাঠান’। তার আগে চলতি বছরে অবশ্য বি-টাউনের কিং খানের বয়স বেড়ে যাবে আরও এক বছর। তাতে যে কিছুই হেরফের হবে না, তা জানা কথা। পাঠানের জন্য রীতিমতো কঠোর শরীরচর্চা করেছেন শাহরুখ। ওয়েট লিফটিং থেকে শুরু করে সার্কিট ট্রেনিং, কার্ডিয়ো ওয়ার্কআউট— বাদ দেননি কিছুই। এ সবের মাঝেই একাধিক বার চোটও পেয়েছেন। কিন্তু হাল ছাড়েননি। লড়ে গিয়েছেন। লড়ে যাওয়ার মানসিকতা তাঁর আজীবনের।
শুধু কি শরীরচর্চা? সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলেছে ডায়েটও। তবে সব খেয়েও কী ভাবে এমন নির্মেদ থাকতে হয়, তা শিখতে হয় শাহরুখ খানকে দেখে। ‘পাঠান’-এর শ্যুটিং চলাকালীন খাওয়াদাওয়ায় তেমন কোনও পরিবর্তন আসেনি। কী কী ছিল তাঁর সে সময়ের খাদ্যতালিকায়। সম্প্রতি তা নিয়ে মুখ খুলেছেন স্বয়ং নায়ক।
শাহরুখ জানিয়েছেন, ডাল তাঁর সব সময়ের প্রিয় খাবার। যে কোনও সময় তিনি এক বাটি ডাল খেয়ে নিতে পারেন। ‘পাঠান’ বলে নয়, তাঁর পাতে প্রতি দিন থাকে ডাল, অল্প ভাত। শাহরুখ ভাত খান শুনে অনেকেই অবাক হতে পারেন। ভাত হল ম্যাগনেশিয়ান, ভিটামিন বি-এর সমৃদ্ধ উৎস। খাওয়ার পাতে এক টুকরো পেঁয়াজ না থাকলে রেগে যান ‘ডন’। পেঁয়াজের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখে। স্বাস্থ্যসচেতন কিং খানের পাতে তাই পেঁয়াজ থাকেই। সেদ্ধ ডিম খেতেও পছন্দ করেন তিনি। সকালে শাহরুখের জলখাবারে থাকে কমলালেবুর রস, ভিটামিন ট্যাবলেট আর ডিম সেদ্ধ।
শাহরুখের খাবারদাবার নিয়ে একটি ধারণা ইতিমধ্যেই পোষণ করেন অনেকেই। অনেকের মনে হয় তিনি বোধ হয় সারা দিন উপোস করে থাকেন। বা খেলেও একেবারে পরিমাণে খুব কম। তাঁরা শুনলে আঁতকে উঠতে পারেন শাহরুখ মাসে এক দিন তন্দুরি রুটি, পাঁঠার মাংস আর তন্দুরি চিকেন খান। দীর্ঘ সময় শরীরচর্চার পর প্রোটিন পাউডারও খান ‘এসআরকে’।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy