আপনার আঙুলের দিকে এক বার তাকিয়ে দেখুন তো? তর্জনি কি অনামিকার থেকে একটু লম্বা লাগছে? না কি অনামিকাই লম্বা বেশি। আচমকা এরকম প্রশ্ন শুনে অবাক লাগছে নিশ্চয়। ভাবছেন কোনটা লম্বা তাতে কি এসে যায়! হেলাফেলা করবেন না। আপনার হাতের মাঝের তিনটি আঙুলই কিন্তু জানান দেবে আপনার পার্সোনালিটি। মানে এক জনের আঙুল দেখেই বুঝতে পারবেন তিনি মিষ্টভাসি না কি বদমেজাজি। কী ভাবে?
১) অনামিকা যখন লম্বা: মিষ্টভাসি
এই ক্ষেত্রে অনামিকা তর্জনির চেয়ে লম্বায় বেশি হয়। যাদের অনামিকা বেশি লম্বা তাঁরা মিষ্টভাসি। খুব চার্মিং। নিজের সঙ্গে কথা বলতে ভালবাসেন। অবশ্যই মিষ্টভাসি হওয়ায় বন্ধুরাও তাঁদেরকে খুব পছন্দ করে থাকে। বিপদে পড়লে সাহায্যের জন্যও প্রস্তুত থাকে সকলে। ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করতে পছন্দ করেন আর খুব সহজেই যে কোনও সমস্যার সমাধান করতে পারেন।
২) তর্জনি যদি বেশি লম্বা হয়: আত্মবিশ্বাসী
অনামিকার চেয়ে যাঁদের তর্জনি বেশি লম্বা তাঁরা সাধারণত আত্মবিশ্বাসী হয়ে থাকে। আর এই আত্মবিশ্বাস থেকে অনেকের মধ্যেই অহংকার বোধ দেখা যায়। এই ধরণের ব্যক্তিত্বেরা অন্তর্মুখী হন না। তবে অনেক ক্ষেত্রে চুপ থেকে নিজের কাজ করতে পছন্দ করেন। লক্ষ্য স্থির করে এগোতেই ভাসবাসেন। চট করে নতুন সম্পর্কে আবদ্ধ হতে পারেন না। এই ক্ষেত্রে এঁরা মূলত লাজুক। যা আছে তা নিয়ে সুখী হলেও সব সময়ই আরও বেশি কিছু পাওয়ার আশা রাখে।
৩) তর্জনি আর অনামিকার দৈর্ঘ্য যদি সমান হয়: শান্তিপ্রিয়
ঠিক করে দেখুন তো আপনি এই শ্রেণির মধ্যে পড়েন কি না। যাঁদের তর্জনি এবং অনামিকার দৈর্ঘ্য সমান বা তর্জনি অনামিকা ছুই ছুই তাঁরা মূলত শান্তিপ্রিয় মানুষ। বাকবিতণ্ডা, তর্কাতর্কি, ঝগড়া এড়িয়ে চলেন। যে কোনও পরিস্থিতিতে সুসম্পর্ক বজায় রাখেন। এই শ্রেণির লোকেদের খুব সহজেই বিশ্বাস করা যায়।
এ বার আঙুলের দিকে তাকিয়ে দেখুন তো আপনার পার্সোনালিটির সঙ্গে মিলছে কি না?
পড়ুন : জানতে চান আর কত বছর বাঁচবেন?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy