শহরে সরকারি অনুমোদনহীন প্যাথোলজি সেন্টারগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মহকুমাশাসকের দ্বারস্থ হল রামপুরহাটের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। সংস্থার অভিযোগ, ওই সব প্যাথোলজি সেন্টার চিকিত্সা পরিষেবা দেওয়ার নাম করে গ্রামের সাধারণ মানুষদের ঠকাচ্ছে। পাশাপাশি সংস্থাটির দাবি, শহরে ভুয়ো চিকিত্সকদের একটি চক্রও এই কর্মকাণ্ডে যুক্ত। এ ব্যাপারে অবিলম্বে কড়া পদক্ষেপ করার দাবিতে মঙ্গলবার দুপুরে প্রথমে ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা শহর জুড়ে একটি মিছিল বের করে। পরে তারা এসডিও-র কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দেন। সংস্থার কর্ণধার সিদ্ধার্থ রায়ের দাবি, “শুধু কিছু প্যাথোলজি সেন্টার বা ভুয়ো চিকিত্সকই নন, রামপুরহাট হাসপাতালের এক শ্রেণির চিকিত্সকও রোগীদের হয়রান করার কাজে লিপ্ত হয়েছেন। তাঁরা হাসপাতালে চিকিত্সা করতে আসা রোগীদের ভাল ভাবে পরীক্ষা না করেই বাইরে রেফার করে দিচ্ছেন। আর প্রাইভেট চেম্বারে অঢেল টাকা নিয়ে প্র্যাক্টিস করেন।” এ দিনের স্মারকলিপিতে সিদ্ধার্থবাবু এই মর্মে রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালের এক চিকিত্সকের বিরুদ্ধেও অভিযোগ জানিয়েছেন।
অভিযুক্ত চিকিত্সক সঞ্জীব সোম অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেই দাবি করেছেন। তাঁর পাল্টা প্রশ্ন, “আমি হাসপাতালের প্যথোলজি বিভাগের পাশাপাশি ব্লাড ব্যাঙ্কের দায়িত্বে রয়েছি। এই দুই বিভাগ ছাড়াও জরুরি বিভাগে ডিউটি করতে হয়। ময়না-তদন্তও করতে হয়। এত সবের পরেও বলবেন, আমি ডিউটি করি না?” সঞ্জীববাবুর পাশেই দাঁড়িয়েছেন হাসপাতাল সুপার সুবোধকুমার মণ্ডলও। তিনি বলেন, “শুধু সঞ্জীব সোমই নন, এখানকার সব চিকিত্সকই আগে হাসপাতালের নিজ নিজ ডিউটি করেন। তার পরে সময় থাকলে যাঁরা প্র্যাকটিসের জন্য সরকারি ভাতা নেন না, তাঁরা প্রাইভেট প্র্যাকটিস করেন।” তবে, হাসপাতালে ঠিক কত জন এমন চিকিত্সক রয়েছেন, তা সুপার জানাতে পারেননি। আবার রোগীদের রেফার করার অভিযোগ প্রসঙ্গে সুপারের যুক্তি, “এই হাসপাতালে তো সমস্ত সুযোগ-সুবিধা নেই। যার জন্য কিছু ক্ষেত্রে রোগীদের রেফার করতে হয়। তবে, অকারণে রেফার করার কোনও সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।” অন্য দিকে, এসডিও (রামপুরহাট) উমাশঙ্কর এস জানিয়েছেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy