জেলা স্বাস্থ্য দফতরের প্রয়োজনীয় অনুমতি দেখাতে পারলে এবং পুরসভার সঙ্গে নতুন চুক্তি করলে তবেই শহরের বেসরকারি সংস্থা পরিচালিত আর্য়ুবেদ চিকিৎসা কেন্দ্রটিকে ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া হবে-- সোমবার সন্ধ্যায় বোর্ড অফ কাউন্সিলের বৈঠকের পরে এমনই সিদ্ধান্ত নিল কালনা পুরসভা।
সোমবার বিকেলে পুর ভবনে বৈঠকের শেষে আর্য়ুবেদ চিকিৎসা কেন্দ্রটিকে ট্রেড লাইসেন্স দেওয়ার বিষয়টি তোলা হয়। পুরপ্রধান বিশ্বজিৎ কুণ্ডু জানান, যেহেতু ওই চিকিৎসা কেন্দ্রের জমিটি পুরসভার, তাই এই ব্যাপারে আইনি পরামর্শ নেওয়া হয়েছে। সেই পরামর্শ মেনেই চলবে পুরসভা। পুরসভা সূত্রের খবর, বৈঠকে ট্রেড লাইসেন্স দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন সিপিএমের দুই কাউন্সিলর। বিশ্বজিৎবাবু বলেন, “পুরসভার আইনি পরামর্শদাতা জানিয়েছে, স্বাস্থ্য দফতর যদি সংস্থাটিকে অনুমতি দেয় এবং সংস্থাটি যদি পুরসভার সঙ্গে আলাদা চুক্তি করে তাহলে ট্রেড লাইসেন্স দিতে বাধা থাকবে না।” সিদ্ধান্তটি সংস্থাকে জানানো হবে বলে জানান তিনি।
তবে পুরসভার সঙ্গে আলাদা কোনও চুক্তি করতে রাজি নয় ওই বেসরকারি সংস্থা। সংস্থার সম্পাদক সুশীল মিশ্র বলেন, “পুরসভা তাদের সিদ্ধান্ত সরকারি ভাবে জানালে স্বাস্থ্য দফতরের অনুমতিপত্র দেখানোর বিষয়টি আলোচনা করব। তবে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে অন্য কোনও চুক্তি করার বিষয়ে আমাদের সায় নেই।”
জেলা স্বাস্থ্য দফতর ওই আর্য়ুবেদ কেন্দ্রটির অনুমতি দিয়েছে কী না তার উত্তরে জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রণব রায় বলেন, “কালনার ওই আর্য়ুবেদ কেন্দ্রটির প্রয়োজনীয় অনুমতি রয়েছে।”
পুরসভা ও ওই বেসরকারি সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৯৬ সালে কালনা শহরে নতুন বাসস্ট্যান্ডের কাছে এসটিকেকে রোডের পাশে পুরসভার ৩৩ শতক জমি জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যবহারের জন্য নিতে চেয়ে আবেদন জানায় সংস্থাটি। জমি পাওয়ার পরে তাঁরা ছোটদের জন্য একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল গড়ে। ২০০১ সালে স্কুলটি কালনা হাসপাতালের কাছে একটি বড় জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। তবে এসটিকেকে রোডের পাশের জমিটির জন্য চুক্তিমাফিক ভাড়া পুরসভাকে মিটিয়ে আসছিল সংস্থাটি। চলতি বছর পড়ে থাকা জমিতে সংস্থার তরফে একটি আয়ুর্বেদ চিকিৎসা কেন্দ্র চালুর উদ্যোগ করা হয়। সংস্থার দাবি, জমি ভাড়া নেওয়ার সময় সিদ্ধান্ত হয়, প্রতি পাঁচ বছর অন্তর পুরসভার সঙ্গে নতুন চুক্তি হবে এবং নতুন চুক্তির সময়ে দশ শতাংশ হারে ভাড়া বাড়বে। এই নিয়ম মেনে ২০০১ ও ২০০৬ সালে পুরসভার সঙ্গে তাদের নতুন চুক্তি হয়। কিন্তু বর্তমান বোর্ড লিখিত চুক্তির রাস্তায় না গিয়ে ২০১৪ সালের অগস্ট পর্যন্ত দু’বছরের জন্য দু’লক্ষ টাকা আগাম ভাড়া নিয়ে নেয়। কিন্তু অভিযোগ, বার বার আবেদন করা সত্ত্বেও ওই আয়ুর্বেদ কেন্দ্রের জন্য ট্রেড লাইসেন্স পাওয়া যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy