এক দিকে, ভিত পুজোর মধ্যে দিয়ে কাজ শুরু হল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের। অন্য দিকে, মিলল মহকুমা হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি। বৃহস্পতিবার কার্যত জোড়া উপহার পেলেন রামপুরহাট মহকুমাবাসী। এ দিন রামপুরহাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ভিত পুজোয় এসে রাজ্যের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী তথা এলাকার বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, অবিলম্বে রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা বাড়ানো হবে। তার পরেই তাঁর মন্তব্য, “সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের কাজ শুরু করে আমাদের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী প্রমাণ করলেন, তিনি মুখে যা বলেন, তা করে দেখান।”
এ দিন সকালে রীতিমতো পুজো দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষিত সুপার স্পোশালিটি হাসপাতালের কাজ শুরু হয়। অনুষ্ঠানে মন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মহকুমাশাসক উমাশঙ্কর এস, হাসপাতাল সুপার সুবোধকুমার মণ্ডল, হাসপাতালের চিকিৎসকদের একাংশ এবং বিভিন্ন বিভাগের কর্মীরা। রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালের ভিতরে তিন কাঠা জমিতে ওই হাসপাতাল নির্মিত হবে। নির্মাণের দায়িত্বপ্রাপ্ত এজেন্সির প্রজেক্ট ইনচার্জ সুদীপ্ত ঘোষ বলেন, “জি-প্লাস ফোর ক্যাটাগরির ভবন তৈরি করা হবে। তিনশো শয্যা থাকবে। প্যাথলজি, চোখ এবং বায়োকেমিস্ট বিভাগও খোলা হবে। এ ছাড়া গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থাও থাকবে।” ১৫ মাসের মধ্যে হাসপাতাল তৈরি হয়ে যাবে বলে সুদীপ্তবাবু দাবি করেছেন। হাসপাতাল তৈরিতে বরাদ্দ করা হয়েছে ৫৫ কোটি টাকা। তৈরির পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রামপুরহাটে এসে ওই হাসপাতাল উদ্বোধন করবেন বলে আশিসবাবু জানিয়েছেন।
এ দিনই আশিসবাবু জানিয়েছেন, রামপুরহাটে মেডিক্যাল কলেজ গড়ার লক্ষ্যে আগামী ২৮ জুলাই স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকেরা রামপুরহাট পুরাতন হাসপাতালের একটি পরিত্যক্ত জমি পরিদর্শনে আসছেন। তাঁরা পুরো বিষয়টি সরেজমিনে খতিয়ে দেখবেন। মন্ত্রী আরও জানান, রোগীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য রামপুরহাটে ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকানের মতো পৃথক ভাবে একটি ডায়াগনসিস সেন্টার খোলা হবে। এ দিকে, রোগীদের একাংশ প্রশ্ন তুলেছেন, মহকুমা হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নত না করে পৃথক ভাবে সুপার স্পোশালিটি হাসপাতাল গড়া কেন? ওই হাসপাতালের পরিকাঠামো নিয়ে ইতিমধ্যেই একাধিক বার রোগী থেকে স্থানীয় বাসিন্দা, বিভিন্ন অংশের মানুষ নানা অভিযোগ জানিয়েছেন। আশিসবাবুর অবশ্য জবাব, “মহকুমা হাসপাতালের পরিকাঠামোর উন্নয়নের প্রতি আমাদের দৃষ্টি রয়েছে। অবিলম্বেই হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা বাড়ানো হবে। নতুন চিকিৎসকও নিয়োগ করা হবে।” অন্য দিকে, মহকুমাশাসক উমাশংকর এস বলেন, “রামপুরহাট মহকুমায় এই ধরনের হাসপাতাল গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এলাকাবাসীরও সাহায্য দরকার। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে প্রশাসনিক দিক থেকেও সব রকমের সাহায্য করব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy