এমনিতেই দলের বিভেদ সামলাতে না পেরে নাজেহাল অরুণাচলের কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রী নাবাম টুকি। তার উপর ‘পদত্যাগ-কেলেঙ্কারি’-র ধাক্কায় তাঁর আসন আরও টলোমলো।
গত কাল বিধানসভার স্পিকার দুই বিক্ষুব্ধ কংগ্রেসি বিধায়কের পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করার কথা ঘোষণা করার পর, রাতে ওই দুই বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রীর নামে গুরুতর অভিযোগ তুলে বলেন, ‘‘টুকি আগে থেকেই আমাদের পদত্যাগ পত্র সই করিয়ে রেখেছিলেন। সেই চিঠিই সুযোগ বুঝে স্পিকারকে পাঠানো হয়েছে। আমরা পদত্যাগ করতে চাইনি।’’ এই ‘ঘটনা’ দলনেত্রী সনিয়া গাঁধীকে জানাতে দুই বিধায়কই আজ দিল্লি রওনা হয়েছেন।
৬০ সদস্যের অরুণাচল বিধানসভায় কংগ্রেস বিধায়কের সংখ্যা ৪৭। বিজেপির রয়েছে ১১ জন বিধায়ক। বাকি দু’জন নির্দল। কংগ্রেস সূত্রে খবর, দল থেকে বহিষ্কৃত প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী কালিখো পুলের নেতৃত্বে ছয় মন্ত্রী-সহ প্রায় তিরিশ জনেরও বেশি বিধায়ক টুকিকে সরাবার পরিকল্পনা করছে। টুকি ইতিমধ্যেই দিল্লিতে দলীয় হাইকম্যান্ডের সঙ্গে দেখা করে সব জানিয়েছেন। তাঁর দাবি, নেতৃত্বে কোনও বদল হবে না বলে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড তাঁকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পাদি রিচো দলে বিদ্রোহের কথা মানতে না চাইলেও বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বা দলের বিরুদ্ধে কেউ কাজ করলে তা বরদাস্ত করা হবে না।’’
গত কাল জানা যায়, টুকি বিরোধী দুই বিধায়ক পদত্যাগ করেছেন। স্পিকার নাবাম রিবিয়ার দফতর থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, কানুবাড়ির বিধায়ক গ্যাব্রিয়েল ডেনওয়াং ওয়াংসু ও পূর্ব খোনসার বিধায়ক ওয়াংলাম সোয়াইন গত ১৬ সেপ্টেম্বর স্পিকারের দফতরে ইস্তফা পত্র পাঠিেয়ছিলেন। ৩০ সেপ্টেম্বর বিধানসভা সংক্রান্ত আইনের ২০০ নম্বর ধারা অনুযায়ী স্পিকার তা গ্রহণ করেছেন। স্পিকারের বিবৃতির কথা সংবাদমাধ্যমে প্রচার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই গ্যাব্রিয়েল ও ওয়াংলাম জানান, পুরো ঘটনাটি মুখ্যমন্ত্রীর সাজানো।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy