পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে করিমগঞ্জ জেলার পাথারকান্দি এলাকায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, অভিযুক্ত অর্পণ মালাকারকে আড়াল করতে চাইছে পুলিশ। তাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না।
এ বিষয়ে পদক্ষেপ না-করা হলে কাল থেকে লাগাতার আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন এলাকাবাসী। পুলিশের বক্তব্য, অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেফতার করা হবে। তাকে ইতিমধ্যেই চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ১৩ এপ্রিল রাতে পাথারকান্দি থানার বারইগ্রামে ঘটনাটি ঘটে। নির্জন একটি জায়গায় নিয়ে গিয়ে প্রতিবেশী এক যুবতীকে ধর্ষণ করে ১৫ নম্বর অসম পুলিশ ব্যাটেলিয়নের জওয়ান অর্পণ। দু’দিন পর থানায় অভিযোগ জানানো হয়। কিন্তু এখনও তাকে গ্রেফতার করা যায়নি। এ নিয়ে কঠোর পদক্ষেপের দাবিতে কাল গ্রামবাসীদের একটি প্রতিনিধিদল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নবীন সিংহের অফিসে যান। পুলিশকর্তা তাঁদের জানান, অভিযুক্ত নিখোঁজ। তার খোঁজ চলছে। চাকরি থেকেও বরখাস্ত করা হয়েছে।
ধর্ষণে অভিযুক্ত কর্মীকে আড়াল করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পুলিশ ব্যাটেলিয়নের সহকারী কমান্ড্যান্ট দেবেন্দ্রনাথ বরুয়া। তিনি বলেন, “অর্পণ ব্যাটেলিয়নকে কলঙ্কিত করেছে। তার এ কাজে অন্য জওয়ানরা বিহু এবং নববর্ষ পালন করতে পারেনি।”
পুলিশকে ২২ বছরের ওই যুবতী জানিয়েছেন, বছর দেড়েক ধরে তিনি অর্পণকে চেনেন। ওই যুবকের প্রেম-প্রস্তাবে রাজি হননি অভিযোগকারিণী। ১৩ এপ্রিল রাতে কথা বলার অজুহাতে তাঁকে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে অর্পণ।
অর্পণের পরিবারের তরফে ওই যুবতীকে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়। মামলা তুলে নেওয়া হলে সামাজিক বিয়েতেও রাজি বলে জানায়। অভিযোগকারিণীর পরিবার দাবি করেন, আগে বিয়ে নথিভুক্ত করতে হবে (ম্যারেজ রেজিস্ট্রেশন)। পরে মামলা তোলা হবে। তাতে পিছিয়ে যায় অর্পণের পরিবার। শেষ পর্যন্ত দু’পক্ষে কোনও মীমাংসা হয়নি।
ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, ধৃত ৩ কিশোর। ঝাড়খণ্ডের লোহারডাগার একটি সরকারি স্কুলের চার ছাত্রের বিরুদ্ধে এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্তরা সকলেই নাবালক। অভিযোগকারিণীর বয়সও ১৩ বছর। কাল সন্ধ্যায় থানায় অভিযোগ করে ওই ছাত্রীর পরিবার। তিন ছাত্র গ্রেফতার হয়েছে। এক জন নিখোঁজ।
জেলার পুলিশ সুপার মৃত্যুঞ্জয় কুমার জানান, মেয়েটি তদন্তকারীদের জানিয়েছে, মূল অভিযুক্ত ছাত্রের সঙ্গে তার পরিচয় ছিল। অভিযুক্তরা সকলেই অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। অভিযোগ, শুক্রবার সন্ধ্যায় মেয়েটি বাড়ি ফিরছিল। পরিচিত ছাত্রটি তাকে ছাত্রাবাসের একটি ফাঁকা ঘরে আটকে রেখে ধর্ষণ করে। পরে তার তিন বন্ধুও মেয়েটির উপর অত্যাচার চালায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy