মঙ্গলবার অসমে ২০১৫ সালের মাধ্যমিক এবং অসম হাইমাদ্রাসা পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। অসম মাধ্যমিক পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, মাধ্যমিকে ৫৭৭ নম্বর পেয়ে মেধা তালিকায় রাজ্যে দশম স্থান পেয়েছে ধুবুরির এসপি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের ছাত্র ভাস্কর ঘোষ। অসম হাই মাদ্রাসা পরীক্ষায় ৫৪৫ নম্বর পেয়ে রাজ্যের মেধা তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে ধুবুরির কামানডাঙা হাইমাদ্রাসার ছাত্র খন্দকার সোয়াহেব।
ধুবুরি শহরের ৬নং ওয়ার্ডের ছাতিয়ানতলার বাসিন্দা ভাস্করের সাফল্যে খুশির হাওয়া গোটা এলাকায়। ভাস্করের বাবা ভক্ত প্রহ্লাদ ঘোষ ধুবুরির একটি ব্যাঙ্কের সহকারি ম্যানেজার। মা সুমিত্রা ঘোষ গৃহবধু। ছোট বোন মৌমিতা নবম শ্রেণির ছাত্রী। ভাস্কর অসমিয়ায় ৯৫, ইংরেজিতে ৯৫, অঙ্কে ৯৯, বিজ্ঞানে ৯২, সমাজ বিজ্ঞানে ৯৬, এবং ঐচ্ছিক অঙ্কে ৯৯ পেয়েছে।
ভাস্কর জানায়, চারজন গৃহশিক্ষকের কাছে পড়েছে সে। পাঠ্যবই আগাগোড়া পড়েই ভাল ফল পেয়েছে। পরীক্ষার আগে দৈনিক ৮-৯ ঘন্টা পড়াশোনার পাশাপাশি গল্পের বই আর ক্যুইজের বইও পড়েছে বলে জানিয়েছে ভাস্কর। ভাস্করের সাফল্যে খুশি তার স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা স্বপ্না অধিকারি। তিনি বলেন, “নার্সারি থেকেই স্কুলে বরাবর ভাল ফল করেছে ভাস্কর। মেধা তালিকায় ওর নাম থাকবে, এমন আশা ছিলই।” ভবিষ্যতে চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন দেখে ভাস্কর।
এদিন প্রকাশিত অসম হাই মাদ্রাসা পরীক্ষায় প্রথম স্থান পেয়েছে ধুবুরির কামানডাঙার হাইমাদ্রাসার ছাত্র খন্দকার। ধুবুরি জেলার তামারহাট থানার কামানডাঙা গ্রামের বাসিন্দা রাসিদুল নবির একমাত্র ছেলে খন্দকার। ভাস্করের মতই চিকিৎসক হওয়ার ইচ্ছে খন্দকারের। পড়াশোনা ছাড়া ক্রিকেট খেলা এবং গল্পের বই পড়া তার শখ।
খন্দকার সোয়াহেবের সাফল্যে খুশি ধুবুরির কামানডাঙা হাইমাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক আব্দুল কুদ্দুস। তিনি বলেন, “স্কুলে বরাবর ভাল ফল করেছে সোয়াহেবে। টেস্টেও ভাল ফল করেছিল।’’ সোয়াহেব অসমিয়ায় ৪৫, ইংরেজিতে ৯৬, অঙ্কে ৯৭, বিজ্ঞানে ৯২, সমাজ বিজ্ঞানে ৮০, আরবিতে ৯৫ এবং ফিকায় ৪০ নম্বর পেয়েছে। খন্দকারও বলে, “টানা পাঠ্যবই পড়েই ভাল ফল পেয়েছি।’’
ধুবুরি জেলা থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসেছিল ১৮ হাজার ৪৩৫ জন ছাত্রছাত্রী এবং অসম হাই মাদ্রাসা পরীক্ষায় বসে ১ হাজার ৭৮২ জন ছাত্রছাত্রী। মাধ্যমিকে প্রথম বিভাগে ২ হাজার ৩১ জন, দ্বিতীয় বিভাগে ৪ হাজার ৫২১ জন এবং তৃতীয় বিভাগে ৫ হাজার ৩৮১ জন ছাত্রছাত্রী পাশ করেছে। পাশের হার ৬৪.৭৩ শতাংশ।
অসম হাই মাদ্রাসা পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে ১১৬ জন, দ্বিতীয় বিভাগে ৬২১ জন এবং তৃতীয় বিভাগে ৫৫৩ জন ছাত্রছাত্রী পাশ করেছে। পাশের হার ৭১.৮৯ শতাংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy