প্রতীকী ছবি।
মেয়ের ‘চরিত্র খারাপ’। এই সন্দেহে নিজের নাবালিকা মেয়েকে দেওয়ালে মাথা ঠুকে খুন করল বাবা। প্রমাণ লোপাটের জন্য পরে পুড়িয়েও দেওয়া হয় তার দেহ। ঘটনাটি ঘটেছে তেলঙ্গানার নালগোন্ডা জেলায়। খুনের অভিযোগে নাবালিকার বাবা ও মাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ছেলেদের সঙ্গে একটু বেশিই কথা বলত বছর তেরোর রাধিকা (নাম পরিবর্তিত)। এ নিয়ে মাঝেমাঝেই মেয়েকে বকাবকি করতেন চিন্না নরসিংহ। তা ছাড়া রাধিকা গায়িকা হওয়ার স্বপ্নও দেখত। সেটাও অপছন্দ ছিল নরসিংহ। ছেলেদের সঙ্গে বন্ধুত্ব পছন্দ করতেন না তার মা লিঙ্গাম্মাও।
আরও পড়ুন: উদ্বোধনের আগেই ভেঙে পড়ল ৩৮৯ কোটির বাঁধ!
পুলিশ জানিয়েছে, গত শুক্রবার স্কুল থেকে ফেরার পর বাড়ির দরজা বন্ধ দেখতে পেয়ে স্কুলব্যাগ রেখে কাকার বাড়িতে যায় রাধিকা। এর মধ্যে নরসিংহ এবং তাঁর স্ত্রী বাড়িতে ফিরে আসেন। মেয়েকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন তাঁরা। সেই সময় রাধিকাকে একটি ছেলের সঙ্গে কথা বলতে দেখেন তিনি। পরে মেয়ে বাড়ি ফিরে এলে কার সঙ্গে সে কথা বলছিল, তা জানতে চান বাবা। মেয়ে উদ্ধত ভাবে উত্তর দেওয়ায় মাথা গরম হয়ে যায় তাঁর। এই নিয়ে দু’জনের মধ্যে বেশ কিছু ক্ষণ বচসাও হয়। রাগের মাথায় রাধিকার গলা ধরে দেওয়ালে মাথা ঠুকে দেন তিনি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় রাধিকার। পরে প্রমাণ লোপাটের জন্য মৃতদেহের উপর কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে দেন তাঁরা। বাড়ি থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখে পুলিশে খবর দেন প্রতিবেশীরাই।
আরও পড়ুন: স্কুলে ফিরতেই ভয় পাচ্ছে প্রদ্যুম্নের বন্ধুরা
নালগোন্ডার নামপল্লী থানার পুলিশ আধিকারিক বালা গাঙ্গি রেড্ডি জানিয়েছেন, প্রথমে রাধিকার বাবা মা জানিয়েছিলেন তাঁদের মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু এতে সন্দেহ প্রকাশ করে পুলিশ। নরসিমা ও ও তাঁর স্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়। পরে জেরার মুখে নিজেদের অপরাধ স্বীকার করেন তাঁরা। নরসিংহ জানিয়েছেন, তিনি মনে করতেন তাঁর মেয়ের চরিত্র খারাপ হয়ে গিয়েছে। প্রায়ই ছেলেদের সঙ্গে কথা বলে সে। তাই নিজের মেয়েকে খুন করেছেন তিনি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ এবং ২০১ ধারার মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy