আইএসের পতাকায় মুড়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সাজাদের দেহ। ছবি: টুইটারের সৌজন্যে।
দেশে প্রথম আইএসের পতাকায় মুড়ে নিয়ে যাওয়া হল সেনা গুলিতে খতম হিজবুল জঙ্গি সাজাদ গিলকরের দেহ। শুধু তাই নয়, গত বুধবার শ্রীনগরের জামিয়া মসজিদের সামনে ওই জঙ্গির শেষকৃত্যে জড়ো হন কয়েকশো মানুষ। ওই মসজিদের বাইরেই গত মাসে নগ্ন করে থেঁতলে খুন করা হয় জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের নিরাপত্তা শাখার ডিএসপি মহম্মদ আয়ুব পণ্ডিতকে।
পাকিস্তানি পতাকায় মুড়ে জঙ্গির দেহ নিয়ে যাওয়ার ঘটনা কাশ্মীরে নতুন নয়। তবে সাজাদ গিলকরের শেষকৃত্যে দেখা গেল অন্য ছবি। ওই হিজবুল জঙ্গির দেহ ইসলামিক জঙ্গি সংগঠন আইএসের পতাকায় মুড়ে ফেলা হয়েছিল। নিহত হিজবুল কমান্ডার বুরহান ওয়ানি এবং জাকির মুসার ছবি লাগানো পতাকা হতে নিয়ে স্লোগানও দেয় উপস্থিত জনতা। পুলিশ সূত্রে খবর, সাজাদের মৃত্যুর পর এলাকায় কার্ফু জারি করা হয়েছিল। কিন্তু তা উপেক্ষা করে শুধু পুরুষরাই নয়, মহিলারাও এ দিন জড়ো হয়েছিলেন শেষকৃত্যে।
আরও পড়ুন: উঃপ্রদেশ বিধানসভায় উদ্ধার হওয়া পাউডার বিস্ফোরকের মশলা!
বুধবার শ্রীনগরে সেনার সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয় সাজাদ গিলকর-সহ আরও দুই হিজবুল জঙ্গির। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, এই সাজাদ ডিএসপি মহম্মদ আয়ুব পণ্ডিত হত্যার ঘটনায় প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত ছিল। যদিও এই বিষয়ে এখনও কোনও রিপোর্ট দেয়নি বিশেষ তদন্তকারী দল। গত মাসে নওহাট্টায় জামিয়া মসজিদের সামনে উন্মুত্ত জনতার রোষের শিকার হন ডিএসপি। মসজিদের ছবি তোলার অভিযোগে তাঁকে নগ্ন করে বেধড়ক মারধর করা হয়। ঘটনাস্থলেই মারা যান কাশ্মীর পুলিশের ওই পদস্থ আধিকারিক। এ ছাড়াও নওহাট্টা, সাফা কাদালে সিআরপিএফ ক্যাম্পে গ্রেনেড হামলা এবং খান্যারে পুলিশ চৌকিতে হামলার সঙ্গেও সাজাদের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy