Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

যাত্রীরা বসে, যন্ত্র-বিভ্রাটে উড়লই না ড্রিমলাইনার

বিপত্তি যেন পিছু ছাড়ছে না ড্রিমলাইনারের! দিন চোদ্দো আগে দিল্লি থেকে ওই বিমানের ছাড়তে দেরি হয়েছিল প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা। সমস্যা দেখা দিয়েছিল বিমানসেবিকার অভাবে। বৃহস্পতিবার ওই বিমানের জন্য সাড়ে তিন ঘণ্টা দেরি হল যাত্রীদের। এ বার দেরির কারণ বিমানের যান্ত্রিক ত্রুটি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০১৪ ০২:৫৩
Share: Save:

বিপত্তি যেন পিছু ছাড়ছে না ড্রিমলাইনারের!

দিন চোদ্দো আগে দিল্লি থেকে ওই বিমানের ছাড়তে দেরি হয়েছিল প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা। সমস্যা দেখা দিয়েছিল বিমানসেবিকার অভাবে। বৃহস্পতিবার ওই বিমানের জন্য সাড়ে তিন ঘণ্টা দেরি হল যাত্রীদের। এ বার দেরির কারণ বিমানের যান্ত্রিক ত্রুটি।

আগের দিন বেশি দেরি হলেও শেষ পর্যন্ত দু’জন বিকল্প সেবিকার ব্যবস্থা হওয়ায় ড্রিমলাইনার উড়তে পেরেছিল। কিন্তু এ দিন দীর্ঘ ক্ষণ চেষ্টা চালিয়েও যন্ত্রের গোলমাল সারানো যায়নি। দিল্লি থেকে বিমানটির ছাড়ার কথা ছিল বেলা ২টো নাগাদ। এয়ার ইন্ডিয়া সূত্রের খবর, মেরামতি না-হওয়ায় বিকেল সাড়ে ৫টার পরে অন্য বিমানে যাত্রীদের রওনা করিয়ে দেওয়া হয়। স্বপ্নের উড়ানে সওয়ার হওয়ার বদলে দীর্ঘ দুর্ভোগের পরে ক্ষুব্ধ যাত্রীরা অন্য বিমানে চড়তে বাধ্য হন।

এয়ার ইন্ডিয়ার ড্রিমলাইনারে লন্ডন থেকে আসা যাত্রীরাও এই বিমানে কলকাতায় ফেরেন। গত ১৮ জুলাই লন্ডন থেকে আসা যাত্রীরা সকাল সকাল দিল্লি পৌঁছে ওই বিমানে ফিরবেন বলে দীর্ঘ ক্ষণ অপেক্ষা করেছিলেন বিমানবন্দরে। মুনমুন সেন, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বেশ কয়েক জন সাংসদও ছিলেন সে-দিনের ড্রিমলাইনারের যাত্রী। কিন্তু নিছক সেবিকার অভাবে বিমান ছাড়তে সাড়ে চার ঘণ্টা দেরি হওয়ায় অন্য যাত্রীদের সঙ্গে সাংসদেরাও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। মুনমুন তো ক্রেতা সুরক্ষা দফতরে অভিযোগ করবেন বলে জানিয়েও দেন। অনেক যাত্রীই বিমানের ভিতরে এবং বিমানবন্দর-চত্বরে বিক্ষোভ দেখান। লন্ডন থেকে আসা যাত্রীরা দীর্ঘ বিমানযাত্রার ধকলের পরে বসে থেকে থেকে পরিশ্রান্ত হয়ে পড়েন।

সেই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি হয়েছে এ দিনও। লন্ডন থেকে আসা সুমৌলি ভট্টাচার্য জানান, তিনি বেলা ১১টার আগেই লন্ডন থেকে দিল্লি পৌঁছে যান। বেলা ২টোয় দিল্লি-কলকাতা ড্রিমলাইনার ছাড়ার কথা ছিল। সুমৌলির অভিযোগ, ‘এখনই ছাড়বে’ বলে যাত্রীদের অনেক ক্ষণ ওই বিমানে বসিয়ে রাখা হয়েছিল। কয়েক ঘণ্টা ও-ভাবে কেটে যাওয়ার পরেও বিমান ওড়েনি। অবশেষে অনেক যাত্রীই অসন্তোষ প্রকাশ করতে শুরু করেন। কিন্তু ড্রিমলাইনারের যান্ত্রিক ত্রুটি এ দিন কোনও ভাবেই সারানো যায়নি। অগত্যা বিকেলে অন্য বিমানে তুলে দেওয়া হয় যাত্রীদের।

সম্প্রতি মুম্বই থেকে দিল্লি যাওয়ার পথে স্পাইসজেটের উড়ান পাঁচ ঘণ্টার বেশি দেরি করায় যাত্রীদের ভাড়া ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সংস্থাটিকে। প্রশ্ন উঠেছে, বারবার ড্রিমলাইনার-বিভ্রাটে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে না কেন? অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে এই স্বপ্নের উড়ান চালু করা হয়েছে। কোনও বিপত্তি ঘটলে যাত্রীদের জন্য সমমানের বিকল্প ব্যবস্থা থাকবে না কেন, উঠছে সেই প্রশ্নও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Dreamliner problem Air India
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE