অরুণ জেটলি। —ফাইল চিত্র।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রিপোর্ট বলছে, নোটবন্দি ব্যর্থ, কমেছে আর্থিক বৃদ্ধির হারও। গত তিন বছরে দেশের অর্থনীতির করুণ হালের জেরে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলিকে সরানোর জন্য চাপ বাড়াচ্ছে সঙ্ঘ পরিবার, বিজেপি নেতৃত্বের একাংশও। কিন্তু নারাজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
তাই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার আসন্ন রদবদলে প্রতিরক্ষা থেকে সরালেও অর্থ মন্ত্রকের দায়িত্ব জেটলির হাতেই থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। মোদী এই ইচ্ছার কথা জেটলিকে জানিয়েও দিয়েছেন। বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের সঙ্গেও আজ জেটলির কথা হয়েছে। জেটলি এ দিন বলেন, ‘‘আর বেশি দিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্বে থাকতে হবে না। যদিও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার মালিক প্রধানমন্ত্রীই।’’ তিনি বাজেটের কাজ শুরু করেছেন কি না, প্রশ্ন করলে হেসে এড়িয়ে যান জেটলি।
কেন অর্থমন্ত্রী বদলের পক্ষে নন মোদী? প্রথমত, অরুণকে সরানোর মানে হলো আর্থিক নীতির ব্যর্থতা স্বীকার করে নেওয়া। সেটা সরকার বা দলের পক্ষে ভাল নয়। দ্বিতীয়ত, অরুণের ভাবমূর্তি শহুরে শিক্ষিত শুধু নয়, পরিচ্ছন্নও। শিল্পমহল এবং অভিজাত সমাজের সঙ্গে তাঁর জনসংযোগ ভাল। তা ছাড়া, জেটলি অর্থমন্ত্রী হলেও বিজেপির অন্দরমহলে সবাই জানে, অনুগত রাজস্বসচিব হাসমুখ আঢিয়ার মাধ্যমে মোদীই কাজকর্ম চালান। জেটলি নিজেও কোনও সংঘাতে যান না। তিনি বুঝে গিয়েছেন, বিদেশনীতি থেকে আর্থিক নীতি— সবেরই নিয়ন্ত্রক মোদী।
আরও পড়ুন: চাপের মুখে কর-বৈঠকে বসছেন মোদী
বিজেপির একাংশ পীযূষ গয়ালকে অর্থমন্ত্রী হিসেবে চেয়েছিলেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী এবং দলীয় সভাপতির ‘কাছের’ ও ‘কাজের’ লোক বলে পরিচিত। তবু তাঁকে অর্থমন্ত্রী করলে ভাল বার্তা না-ও যেতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। এমন প্রস্তাবও উঠেছিল যে, জেটলির বিকল্প হিসেবে অরুণ শৌরি বা সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর মতো নেতারা মোদীর অপছন্দেরই হন, তা হলে কোনও অর্থনীতিবিদকে ওই পদে আনা হোক। কিন্তু নীতি আয়োগে অরবিন্দ পানগড়িয়াকে বসানোর অভিজ্ঞতা ভাল নয় সরকারের।
তাই আপাতত ভরসা অরুণেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy