Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

মোদীর বাধা কাটাতে বগলা পুজো দিল্লিতে

চন্দন কাঠ, ঘি এবং ১,১১১ জন পুরোহিতের সমবেত মন্ত্রোচ্চারণে খাস দিল্লির বুকে লালকেল্লার সামনে খুব দ্রুত বৈদিক গ্রামের আবহ প্রত্যক্ষ করতে চলেছেন রাজধানীবাসী। যেখানে যাগযজ্ঞ, পুজো-অর্চনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর চলার পথের সব বাধা কাটাতেই রাষ্ট্র রক্ষা মহাযজ্ঞ-র উদ্যোগ নিতে চলেছেন পূর্ব দিল্লির বিজেপি সাংসদ মহেশ গিরি।

লালকেল্লায় রাষ্ট্র রক্ষা মহাযজ্ঞ নিয়ে আলোচনায় বিজেপি নেতৃত্ব। নিজস্ব চিত্র

লালকেল্লায় রাষ্ট্র রক্ষা মহাযজ্ঞ নিয়ে আলোচনায় বিজেপি নেতৃত্ব। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০১৮ ০৩:২৩
Share: Save:

দাউ দাউ করে জ্বলবে অগ্নিকুণ্ড। একটি, দু’টি নয় একেবারে ১০৮টি। চন্দন কাঠ, ঘি এবং ১,১১১ জন পুরোহিতের সমবেত মন্ত্রোচ্চারণে খাস দিল্লির বুকে লালকেল্লার সামনে খুব দ্রুত বৈদিক গ্রামের আবহ প্রত্যক্ষ করতে চলেছেন রাজধানীবাসী। যেখানে যাগযজ্ঞ, পুজো-অর্চনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর চলার পথের সব বাধা কাটাতেই রাষ্ট্র রক্ষা মহাযজ্ঞ-র উদ্যোগ নিতে চলেছেন পূর্ব দিল্লির বিজেপি সাংসদ মহেশ গিরি।

এক দিকে যজ্ঞ, আহুতি— কল্যাণ কামনায়। অন্য দিকে বিপদ কাটাতে হবে মা বগলার পুজো। বিজেপির এক নেতার কথায়, হিন্দু দশ মহাবিদ্যায় অন্যতম এই বগলামুখী দেবী অপরাজেয়। ব্রহ্মাণ্ডের কোনও শক্তি তাঁর মোকাবিলা করতে পারেনি। এই শক্তির আরাধান করলে মোদীকেও কোনও শক্তি পরাস্ত করতে পারবে না। নেপথ্যে বিজেপি। তাই আগামী ১৮ থেকে ২৫ মার্চ-সাত দিনে দশ মহাবিদ্যার অন্যতম ওই দেবীর পুজোয় ব্রাত্য থাকছে আমিষ।

আসল লক্ষ্য ২০১৯। কংগ্রেসের অভিযোগ, যত নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসবে তত এ ধরনের যাগ-যজ্ঞ করে হিন্দুত্বের জিগির তোলার পথে হাঁটবে বিজেপি। অন্য দিকে মহেশ গিরির বক্তব্য, এই আয়োজনের লক্ষ্যই হল ২০১৯ সালে ফের মোদীকে ক্ষমতায় নিয়ে আসা। তার কারণেই ওই মহাযজ্ঞের আয়োজন। হবে রথ যাত্রাও। অতীতের অশ্বমেধের ঘোড়ার মতো সেই রথ ঘুরবে গোটা দেশ। বিজেপি-অবিজেপি সব রাজ্যের মানুষের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হবে ঘি, যা ব্যবহার হবে সপ্তাহব্যাপী যজ্ঞে। তবে আজ গিরি স্পষ্ট করে দিয়েছেন— বিজেপি নয়, তাঁর ব্যক্তিগত উদ্যোগেই করা হচ্ছে ওই আয়োজন। গিরির কথায়, তবে অনুষ্ঠানে ডাকা হয়েছে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ-সহ প্রায় কুড়ি হাজার মানুষকে।

হিন্দুত্বের পাশাপাশি জাতীয়তাবাদের বিষয়টিও একই সঙ্গে উস্কে দিতে ছাড়ছেন না মহেশ গিরিরা। আর তাই পরিকল্পিত ভাবে যজ্ঞস্থলের মাটি আনা হচ্ছে এক দিকে ডোকালাম ও অন্য দিকে জম্মু-কাশ্মীরের পুঞ্চ থেকে। মহেশ গিরির বক্তব্য, ‘‘অভ্যন্তরীণ ও বহিঃশত্রুরা দেশের ক্ষতি করার চেষ্টা করছে। তাই ওই দু’টি স্থান থেকে মাটি আনা হচ্ছে। প্রাচীন রীতি মেনেই ওই যজ্ঞ অনুষ্ঠান করা হবে, যাতে সমস্ত বিপদ রুখে নতুন ভারত গড়ে তোলা সম্ভব হয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE