Advertisement
০২ মে ২০২৪

সকালে লাড্ডুর অর্ডার, বেলা বাড়তেই মুখ লুকোল বিমর্ষ বিজেপি

সকালে কচুরি-তরকারি-জিলিপির ঢালাও আয়োজন ছিল। সঙ্গে পুদিনার চাটনিও ছিল। সাড়ে আটটা নাগাদ বীরচন্দ্র পটেল পথের বিজেপি রাজ্য সদর দফতরে খুশির পরিবেশ। লাড্ডুর অর্ডার দেওয়ার কাজ শুরু করেছেন দলের নেতারা।

বিহারে হারের ধাক্কায় শুনসান দিল্লির বিজেপি দফতরও। —নিজস্ব চিত্র।

বিহারে হারের ধাক্কায় শুনসান দিল্লির বিজেপি দফতরও। —নিজস্ব চিত্র।

দিবাকর রায়
পটনা শেষ আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০১৫ ১৩:০৭
Share: Save:

সকালে কচুরি-তরকারি-জিলিপির ঢালাও আয়োজন ছিল। সঙ্গে পুদিনার চাটনিও ছিল। সাড়ে আটটা নাগাদ বীরচন্দ্র পটেল পথের বিজেপি রাজ্য সদর দফতরে খুশির পরিবেশ। লাড্ডুর অর্ডার দেওয়ার কাজ শুরু করেছেন দলের নেতারা। এমন সময়ে বিজেপি অফিসের বাইরে একটি টিভি চ্যানেলের জায়ান্ট স্ক্রিনে হিসেব ধীরে ধীরে পাল্টে যেতে শুরু করল। একই সঙ্গে পাল্টে য়েতে লাগল বিজেপি অফিসের ছবি। ধীরে ধীরে ফিকে হতে থাকল ভিড়টা। খুশি পাল্টে গেলে বিষাদে। কচুরি-তরকারি হাতে শালপাতার প্যাকেট নিয়ে সরে পড়লেন কর্মী-সমর্থকেরা। দলের সহ-সভাপতি সঞ্জয় ময়ূখ বলেন, ‘‘আমরা জিতছিলাম। এখন ফল পিছনের দিকে যাচ্ছে। দেখা যাক কী হয়!’’

পড়ুন: নীতীশের হ্যাটট্রিক, বিহারে বিপুল জয় মহাজোটের

সঞ্জয় ময়ূখ বলার পরেই বিজেপি অফিস ফাঁকা হতে শুরু করে। শুধু দলের দফতর নয়, রাজ্য বিজেপি নেতাদের বাড়ির বাইরেও থাকা সমর্থকেরা ফিরে যেতে শুরু করেন। দলের রাজ্য সভাপতি মঙ্গল পাণ্ডে, বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা নন্দকিশোর যাদব এবং রাজ্যের প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুশীলকুমার মোদীরা নিজেদের বাড়িতেই ছিলেন। সকালে আনন্দে থাকা নেতারা খবর আসতে শুরু করার পরেই গম্ভীর হয়ে যান। এমনকী গাঁধী ময়দানে ভিড় করে থাকা বিজেপি সমর্থকেরা ফিরতে শুরু করেন।

পড়ুন: বাঁধভাঙা জয়ের আভাস পেয়েই বাঁধনহারা উল্লাসে মাতল মহাজোট

শুধু বিজেপি নয়, এনডিএ-র অন্য দলের অফিস সকালের দিকে খোলা থাকলেও সাড়ে ন’টার পরে তা বন্ধ হয়ে যায়। রামবিলাস পাশোয়ান এবং চিরাগ পাশোয়ানের বাড়ির বাইরে ভিড় থাকলেও সকাল ১০টার পরে তা আর দেখা যায়নি। গতকাল রাতেই গয়ার গ্রামের বাড়ি থেকে পটনায় এসেছেন জিতনরাম মাঁঝি। তাঁর বাড়িতে থাকা নেতারাও নীতীশ কুমারের জয়ের খবর আসতেই সরে পড়েন। উপেন্দ্র কুশহওয়ার ফোন বন্ধ ছিল। তিনি ঠিক কোথায় রয়েছেন তা কেউই বলতে পারেননি।

পড়ুন: সকালে লাড্ডুর অর্ডার, বেলা বাড়তেই মুখ লুকোল বিমর্ষ বিজেপি

কেন এমন হল! বিজেপি নেতারা মনে করছেন প্রথম দিকে সরকারি কর্মীদের পোস্টাল ব্যালট গণনা করা হচ্ছিল। সে কারণে কিছুটা এগিয়ে ছিলেন তাঁরা। পরে ইভিএম খুলতেই ফল পাল্টে যায়।

পড়ুন: বিহারে বিপর্যয়ের দায় নিতে হবে মোদীকেই

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE