সনিয়া গাঁধীর ডাকা বিরোধীদের বৈঠকে গত কাল ঠিক হয়েছিল, সংসদে বিজেপির মোকাবিলায় কক্ষ সমন্বয় করা হবে। আজ সকালে রাজ্যসভাতেই সেই সমন্বয় শুরু করল তৃণমূল, সমাজবাদী পার্টি, আপ-এর মতো দলগুলি।
গত অধিবেশন থেকেই একলা চলার নীতি নিয়েছিল তৃণমূল। রাহুল গাঁধী বিরোধী নেতৃত্বের সামনের সারিতে চলে আসার পরেই কিছুটা দূরত্ব তৈরির কৌশল নিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু গুজরাত বিধানসভার পরে গত কাল রাজস্থানের উপনির্বাচনেও কংগ্রেসের সাফল্য সামগ্রিক ভাবে রাহুলের নেতৃত্বকে আরও বেশি করে তুলে ধরেছে। যাকে উপেক্ষা করে বিরোধী ঐক্যে আপাতত ফাটল ধরাতে চাইছেন না তৃণমূল নেতৃত্ব।
তৃণমূল আগে ভেবেছিল, রেল বাজেটে পশ্চিমবঙ্গের প্রতি বঞ্চনা নিয়ে আজ রাজ্যসভায় সরব হবে। কিন্তু সপা এবং কংগ্রেস-সহ অন্য বিরোধীদের সঙ্গে আলোচনার পরে ঠিক হয়, যে হেতু উত্তরপ্রদেশের কাসগঞ্জে সাম্প্রদায়িক হিংসার বিষয়টি আরও বেশি প্রাসঙ্গিক এবং জোরালো, তাই এ নিয়ে বিরোধী আক্রমণ লঘু করা হবে না। তৃণমূল জানিয়ে দেয়, আগামী সোমবার রেলের প্রসঙ্গ তোলা যেতে পারে। তখন কাসগঞ্জ নিয়ে সপা-র সঙ্গে গলা মেলায় অন্য বিরোধীরা। ‘বেআইনি’ দোকান বন্ধ করা নিয়ে দিল্লি পুরসভার অভিযানের বিরোধিতায় সরব হতে চাইছিল আপ। দিল্লির শাসক দল তৃণমূলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখলেও তারা কংগ্রেস-বিরোধী। এই অবস্থায় আজ কংগ্রেস সাংসদদের সঙ্গে আপের কথা বলিয়ে দেয় তৃণমূল। সেই আলোচনার পরে বিরোধীরা একযোগে আপের প্রতিবাদকে সমর্থন করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy