Advertisement
০৫ মে ২০২৪

সংবাদপত্রকে টাকা খাইয়ে বরখাস্ত মন্ত্রী

২০০৯ সালের এপ্রিলে কংগ্রেস বিধায়ক রাজেন্দ্র ভারতী অভিযোগ তোলেন, নির্বাচন কমিশনের কাছে ভোটের খরচ নিয়ে ভুল তথ্য জমা দিয়েছেন নরোত্তম। ২০১৩ সালে এই বিষয়ে জবাব চেয়ে নরোত্তমের কাছে নোটিস পাঠায় কমিশন। এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যান এই মন্ত্রী।

নরোত্তম মিশ্র

নরোত্তম মিশ্র

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০১৭ ০৩:১৭
Share: Save:

বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিভিন্ন সংবাদপত্রকে টাকা খাইয়ে ভুয়ো খবর ছাপানোর অভিযোগে মধ্যপ্রদেশের মন্ত্রী নরোত্তম মিশ্রকে বিধায়ক পদ থেকে তিন বছরের জন্য বরখাস্ত করল নির্বাচন কমিশন। শিবরাজ সিংহ চৌহানের মন্ত্রিসভার অন্যতম প্রভাবশালী এই সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০০৮ সালে তিনি নির্বাচনী ব্যায়বরাদ্দের ভুল হিসেব দিয়েছিলেন কমিশনের কাছে। আইন ভেঙে নিজের প্রচারের জন্য একাধিক সংবাদপত্রকে দেওয়া টাকার হিসেব ধরা ছিল না সেখানে। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২০১৮-র ডিসেম্বরের নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না জলসম্পদ ও আইন বিষয়ক মন্ত্রী নরোত্তম। মন্ত্রিসভা থেকেও সরে যেতে হতে পারে তাঁকে।

২০০৯ সালের এপ্রিলে কংগ্রেস বিধায়ক রাজেন্দ্র ভারতী অভিযোগ তোলেন, নির্বাচন কমিশনের কাছে ভোটের খরচ নিয়ে ভুল তথ্য জমা দিয়েছেন নরোত্তম। ২০১৩ সালে এই বিষয়ে জবাব চেয়ে নরোত্তমের কাছে নোটিস পাঠায় কমিশন। এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যান এই মন্ত্রী। হাইকোর্ট তাঁর আবেদন খারিজ করে দিলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। গত বছর দিল্লিতে নরোত্তমকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কমিশন। তার পরেই তাঁকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়। যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বিজেপির এই নেতা বলেছেন, ‘‘আমি সংবাদমাধ্যমকে কোনও টাকা দিইনি। নির্বাচন কমিশনের হাতেও কোনও প্রমাণ নেই আমার বিরুদ্ধে।’’ নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন বিজেপির রাজ্য প্রেসিডেন্ট নন্দ কুমার সিংহ চৌহানও। এর বিরুদ্ধ হাইকোর্টে যাওয়ার কথাও ভাবছে দল। এ দিকে নরোত্তমকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেওয়ার দাবিতে সরব হয়েছে কংগ্রেস।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Narottam Mishra নরোত্তম মিশ্র
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE