প্রতীকী ছবি।
বাহিনী ঘিরে ফেলেছে গোটা বাড়ি। সেই বাড়িরই এক বাসিন্দার মোবাইল চেয়ে বাবাকে ফোন করল ছেলে। নিহত জঙ্গি ইতমাদ হুসেন দারের সঙ্গে তার বাবার সেই কথোপকথন এখন ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই প্রথম এমন কথোপকথন সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত হতে দেখল কাশ্মীর।
রবিবার শোপিয়ানের কাছদুরায় একটি বাড়ি ঘিরে ফেলে বাহিনী। সেই সময়েই বাড়ির এক বাসিন্দার ফোন চেয়ে বাবাকে ফোন করে বছর ছাব্বিশের ইতমাদ হুসেন দার। তার বাড়ি শোপিয়ানেরই আমশিপোরায়। ফোন করে বাবার কাছে প্রথমেই ক্ষমা চায় সে। বলে, ‘‘আমি কখনও কোনও অপরাধ করে থাকলে ক্ষমা করে দিয়ো।’’ তখনই কান্নার রোল ওঠে বাড়িতে। ইতমাদ জানায়, দুই জঙ্গি পালিয়েছে। কিন্তু তারা পালাতে পারছে না। ইতমাদের বাবা বলেন, ‘‘আমি কি তোমাকে আত্মসমর্পণ করতে বলতে পারি?’’ ইতমাদ জানিয়ে দেয়, আত্মসমর্পণ করবে না সে। বাবা বলেন, ‘‘বেশ যা করলে তুমি খুশি থাক তাই করা উচিত। পারলে বাহিনীর কর্ডন ভেঙে পালিয়ে যাও। না পারলে আর কি করা যাবে?’’ পরে চোখের জল চেপে বাবার মন্তব্য, ‘‘তুমি ঈশ্বরের দান। তাঁর কাছেই তোমায় ফিরিয়ে দিলাম।’’
ইতমাদ জানায়, তার সঙ্গী ইশফাক ঠোকরও বাড়িতে কথা বলতে চায়। তার পরেই সে বলে, ‘‘মাথায় গুলি লেগেছে। চোখ জড়িয়ে আসছে। আর কথা বলতে পারছি না।’’ কথাবার্তা এখানেই শেষ।
আরও পড়ুন: দলিত নিয়ে চাপে অম্বেডকর নাম জপ
কিন্তু এই কথোপকথন থেকে দুশ্চিন্তা আরও বেড়েছে বাহিনীর কর্তাদের। তাঁরা মানছেন, বাড়ির লোকও যখন জঙ্গিদের আত্মসমর্পণে রাজি করাতে পারছেন না তখন পরিস্থিতি সত্যিই কঠিন। গত কয়েক মাসে বার বার স্থানীয় যুবকেরা জঙ্গি সংগঠন ছে়ড়ে মূলস্রোতে এলে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে প্রশাসন। কিন্তু তাতে বিশেষ কাজ হয়নি। রবিবারই অনন্তনাগে দুই জঙ্গিকে আত্মসমর্পণের সুযোগ দিয়েছিল বাহিনী। এক জন রাজি হয়। কিন্তু অন্য জনের সঙ্গে তার বাবা-মা দীর্ঘ ক্ষণ কথা বললেও সে রাজি হয়নি। স্থানীয়দের বিশ্বাস ফিরে পাওয়া যে এখনও দূর অস্ত তা একান্তে মেনে নিচ্ছেন প্রশাসনের কর্তারাই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy