ফাইল চিত্র।
শেষ ৫ বছর ধরে কুয়াশা এবং ধোঁয়াশার উপদ্রবে উত্তরমুখী ট্রেনগুলোর যাত্রীদের বিশেষ করে শীতকালে চূড়ান্ত দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উত্তরমুখী যে ট্রেনগুলো দিল্লি হয়ে যাচ্ছে বিশেষ করে সেগুলোই এই সমস্যার মধ্যে পড়ছে। ৮-১০ ঘণ্টা দেরি করা থেকে শুরু করে শীতের এই সময়টাতে দুর্ঘটনাও ঘটছে। দৃশ্যমান্যতা কমে যাওয়ার জন্য দুর্ঘটনাতেও পড়ছে। গত বছর অনেত ভেবেচিন্তে রেলবোর্ড শীতের আগেই দেশ জুড়ে কয়েকশো উত্তরমুখী ট্রেন বাতিল করে দিয়েছিল যাতে বাকি ট্রেনগুলো সুষ্ঠভাবে হাতে সময় রেখে যেতে পারে। কিন্তু এ বছর শুরুতেই কুয়াশা আর ধোঁয়াশার চাদর ঢেকে দিচ্ছে দিগন্ত। যার ফলে দাঁড়িয় যাচ্ছে ট্রেন।
গত ৭ দিন ধরে উত্তরমুখী সব ট্রেনেরই সকাল সন্ধ্যা মিলিয়ে গড়ে ৫-৬ ঘণ্টা দেরিতে চলাচল করছে। এর জের পড়েছে এ রাজ্যেতেও। দিল্লি থেকে রেকগুলো ফিরতি পথে অনেক দেরি করায় হাওড়া-শিয়ালদহ থেকে পরের দিনের ট্রেনগুলো ছাড়তেও দেরি হচ্ছে। রেল কর্তৃপক্ষ উপায়ান্তর না দেখে ওই ট্রেনগুলো ছাড়ার সময় ৬-৭ ঘণ্টাও পিছিয়ে দিচ্ছে।
কালীপুজোর রাতেও শীত না পড়তেই দূষণের জেরে যে ভাবে দু’দিন দিল্লির আকাশ ঢেকে গিয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল ধোঁয়াশায়। আবহাওয়াবিদেরা মনে করছেন, উত্তরে কুয়াশার এই দাপট বাড়ছে দূষণের জন্যই। এর হাত থেকে এখনই নিষ্কৃতি পাওয়ার কোনও উপায় তাঁরা দেখছেন না। দূষণ কমলে তবেই এই উৎপাত কমবে বলে দাবি তাঁদের।
কোন কোন ট্রেন কতটা দেরিতে চলছে দেখে নিন:
১২৩০৭ (হাওড়া বিকানির যোধপুর এক্সপ্রেস) রাত ১১টা ৪০ মিনিটের পরিবর্তে ৪.১২.১৬ তারিখে ভোর ৩টে ৩০ মিনিটে ছাড়বে।
১২১৩১১ (হাওড়া-কালকা মেল) আজ সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটের পরিবর্তে আগামীকাল ভোর ৪টেয় ছাড়বে।
১২৩২১ (হাওড়া-সিএসটিএম মেল) আজ রাত ১০টার পরিবর্তে রাত ১টায় ছাড়বে।
১৩০০৫ (হাওড়-এএসআর মেল) রাত সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটের পরিবর্তে রাত ৯টা ১০ মিনিটে ছাড়বে।
১৩০০৯ (হাওড়া-ডিডিএন এক্সপ্রেস) রাত সাড়ে ৮টার পরিবর্তে রাত ১০টায় ছাড়বে।
১৩৪১৩ (মালদহ টাউন-দিল্লি ফরাক্কা এক্সপ্রেস) সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটের পরিবর্তে রাত ১টায় ছাড়বে।
১২৯৮৭ (শিয়ালদহ-এআইআই এসএফ এক্সপ্রেস) রাত ১১টা ৫ মিনিটের পরিবর্তে আগামীকাল ভোর ৫টায় ছাড়বে।
আগামীকাল পূর্বা এক্সপ্রেস বাতিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy