দলিত যুবকের উপর পুলিশের জঘন্য অত্যাচারের অভিযোগ এ বার গুজরাতে। —প্রতীকী ছবি / এএফপি।
ফের দলিত নির্যাতনের অভিযোগ। এ বার গুজরাতে। প্রথমে অকারণে গ্রেফতার, তার পরে পুলিশকর্মীদের জুতো চাটতে বাধ্য করা। অমরাইবাডী থানায় নিযুক্ত পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।
অভিযোগকারী হর্ষদ যাদব পেশায় টিভি মেক্যানিক। অমদাবাদ শহরের সাইবাবা নগর সোসাইটির বাসিন্দা তিনি। বছর চল্লিশের হর্ষদের অভিযোগ, ২৯ ডিসেম্বর তাঁর বাড়ির কাছে সাইবাবা মন্দিরে ভিড় জমেছিল, খুব হট্টগোল চলছিল। বাড়ি থেকে বেরিয়ে তিনি এক জনের কাছে জানতে চান, কী ঘটেছে? যাঁকে তিনি এই কথা জিজ্ঞাসা করেছিলেন, তিনি অমরাইবাডী থানার কনস্টেবল বিনোদভাই বাবুভাই, খবর পুলিশ সূত্রের। হর্ষদের দাবি, কী হয়েছে জিজ্ঞাসা করতেই তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন ওই কনস্টেবল, তার পর লাঠি চালাতে শুরু করেন। হর্ষদের স্ত্রী এবং মা তাঁকে রক্ষা করার চেষ্টা করলে, তাঁদের সঙ্গেও পুলিশের ধস্তাধস্তি হয় বলে অভিযোগ। এর পরে তিন জনকেই থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। হর্ষদ যাদবকে লকআপে ভরে দেওয়া হয়। অভিযোগ অন্তত তেমনই।
হর্ষদের বিরুদ্ধে পুলিশকর্মীর গায়ে হাত তোলার অভিযোগে এফআইআর হয়েছিল সে দিন। পরে হর্ষদ নিজের অভিযোগে জানিয়েছেন, লকআপ থেকে বার করে বিনোদ এবং অন্য কয়েক জন তাঁর জাতি জানতে চান সে দিন। তার পরে বলেন ক্ষমা চাইতে। তিনি ক্ষমা চাওয়ার জন্য নিচু হতেই থানার কয়েক জন কর্তা তাঁকে বলেন, বিনোদের জুতো চাটতে। সেখানে উপস্থিত অন্য পুলিশকর্মীদের জুতোও তাঁকে চাটতে বলা হয়। অভিযোগ, সে কাজ করতে তাঁকে বাধ্যও করা হয়।
আরও পড়ুন: পার্কে ঘুরতে গিয়ে ধর্মীয় কারণে প্রহৃত দুই কিশোরী
পুলিশের মারে সে দিন হর্ষদের হাতের আঙুল ভেঙেছিল বলে অভিযোগ। পরে তাঁকে আদালতে পেশ করা হয়। কিন্তু শাসানির সুরে পুলিশ জানিয়ে দিয়েছিল, মারধর বা জুতো চাটানোর ঘটনা নিয়ে আদালতে মুখ খোলা যাবে না। অভিযোগ হর্ষদ এবং তাঁর পরিবারের।
আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্র বন্ধ প্রায় সর্বাত্মক, বিকালেই প্রত্যাহার করে নিলেন নেতৃত্ব
হর্ষদ সে দিন আদালতে মুখ খোলেননি। কিন্তু পরে অভিযোগ দায়ের করেছেন পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে। ২৯ ডিসেম্বর সাইবাবা মন্দিরে পুলিশ তাঁর স্ত্রীর উপর যে ভাবে চড়াও হয়েছিল, তাতে তাঁর স্ত্রীও অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বলে হর্ষদ নিজের অভিযোগে জানিয়েছেন।
তফসিলি জাতি-উপজাতি (অত্যাচার প্রতিরোধ) আইনে পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন হর্ষদ যাদব। অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy