Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Terrorism

লাদেনকে খতম করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ভারতের! নয়া তথ্যে চাঞ্চল্য

ওসামা বিন লাদেনের হত্যায় হাত ছিল ভারতের! শুধু মাত্র মার্কিন নৌসেনার সিল টিম-৬-এর কৃতিত্ব নয়, আল কায়েদার প্রতিষ্ঠাতাকে নিকেশ করতে নয়াদিল্লিরও ভূমিকাও ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ!

ওসামা বিন লাদেনের গোপন আস্তানার খোঁজ পেতে সব সময় সতর্ক ছিল ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা, উঠে আসছে এমনই তথ্য। —ফাইল চিত্র।

ওসামা বিন লাদেনের গোপন আস্তানার খোঁজ পেতে সব সময় সতর্ক ছিল ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা, উঠে আসছে এমনই তথ্য। —ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০১৬ ১১:৫০
Share: Save:

ওসামা বিন লাদেনের হত্যায় হাত ছিল ভারতের!

শুধু মাত্র মার্কিন নৌসেনার সিল টিম-৬-এর কৃতিত্ব নয়, আল কায়েদার প্রতিষ্ঠাতাকে নিকেশ করতে নয়াদিল্লিরও ভূমিকাও ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ!

এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার এক প্রাক্তন কর্তার বয়ানে।

একটি হিন্দি সংবাদমাধ্যমকে সম্প্রতি এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ভারতের জয়েন্ট ইনটেলিজেন্ট কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা প্রাক্তন উপ-জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এস ডি প্রধান। সেই সাক্ষাৎকারে প্রধান জানিয়েছেন, লাদেন-হত্যায় ভারত যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। কী সেই ভূমিকা? এস ডি প্রধান জানিয়েছেন, লাদেনের গোপন ডেরা খুঁজে বার করতে খুব বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন ভারতীয় গোয়েন্দারা।

ভারত এবং আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থার মধ্যে গোপন তথ্যের আদান-প্রদান বহু দিন ধরেই হয়। পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর বিভিন্ন ষড়যন্ত্র সম্পর্কে ভারতকে বহু বার সতর্ক করেছে ওয়াশিংটন। একই রকম ভাবে বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের গতিবিধি সম্পর্কেও মার্কিন গোয়েন্দাদের একাধিক বার সতর্ক করেছে নয়াদিল্লি। লাদেনের ডেরা অবস্থান সম্পর্কে ভারতীয় গোয়েন্দারা যা জানতে পেরেছিলেন, তাও আমেরিকাকে জানানো হয়েছিল।

লাদেনের ডেরার অবস্থান কী ভাবে জানতে পেরেছিল ভারত?

এস ডি প্র্রধান জানিয়েছেন। আল কায়েদা এবং তালিবানদের গতিবিধির উপর সব সময়ই সতর্ক নজর রাখত ভারত। ওই দুই সংগঠনের শীর্ষনেতারা কখন, কোথায় যাচ্ছেন, তারও খোঁজ রাখার চেষ্টা করা হত। সেই গোপন নজরদারিতেই ধরা পড়ে, ২০০৬-০৭ সালে পাকিস্তানে দু’বার বৈঠক করেছিলেন আল কায়েদার তৎকালীন সেকেন্ড-ইন-কম্যান্ড আয়মান আল জওয়াহিরি এবং লাদেনের ঘনিষ্ঠ মোল্লা ওমর। দু’টি বৈঠকের পরেই তাঁরা দু’জনে রাওয়ালপিন্ডি গিয়েছিলেন এবং তার পর বেপাত্তা হয়ে গিয়েছিলেন। জওয়াহিরি এবং ওমরের বৈঠক দু’বার একই জায়গায় হয়েছিল, তা নয়। কিন্তু দু’বারই বৈঠক শেষে তাঁরা রাওয়ালপিন্ডি গিয়েছিলেন। এতেই ভারতীয় গোয়েন্দাদের মনে সংশয় তৈরি হয়। কারণ মোল্লা ওমর বা আয়মান আল জওয়াহিরি রাওয়ালপিন্ডিতে থাকতেন না। তাঁরা আফগানিস্তান বা মধ্য এশিয়ার কোনও দেশেই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আত্মগোপন করে থাকতেন। তা হলে পাকিস্তানে বৈঠকের পর তাঁরা দু’বারই রাওয়ালপিন্ডি কেন গেলেন? খুব গুরুত্বপূর্ণ কেউ কি রাওয়ালপিন্ডি বা তার আশেপাশে থাকেন? তাঁর সঙ্গেই কি দেখা করতে যাচ্ছিলেন দুই শীর্ষ জঙ্গি?

আরও পড়ুন: ওবামার সাফল্য নিয়ে তৈরি ছবিতে উপস্থিত এক মাত্র বিদেশি রাষ্ট্রনেতা মোদী

ভারতীয় গোয়েন্দাদের বুঝতে বাকি থাকেনি, জওয়াহিরি এবং ওমর যদি রাওয়ালপিন্ডিতে কারও সঙ্গে দেখা করতে যান, তা হলে তিনি নিশ্চয়ই ওসামা বিন লাদেন। ওয়াশিংটনকে নয়াদিল্লি জানিয়ে দেয়, রাওয়ালপিন্ডি বা তার আশেপাশেই লাদেনের গোপন ডেরা। সন্ধান ওই এলাকাতেই চালাতে হবে। ভারতের দেওয়া সেই তথ্যের ভিত্তিতেই রাওয়ালপিন্ডি এবং তার আশেপাশে গোপনে অনুসন্ধান শুরু করেন মার্কিন গোয়েন্দারা। রাওয়ালপিন্ডি সংলগ্ন অ্যাবটাবাদে লাদেনের ডেরার খোঁজ পাওয়া যায়। এবং ২০১১ সালের ২ মে লাদেনের আস্তানায় ঢুকে তাকে নিকেশ করেন মার্কিন নৌসেনার সিল কম্যান্ডোরা।

এস ডি প্রধান যা বলেছেন, তা অবশ্য তাঁর ব্যক্তিগত দাবি। ভারত সরকারি ভাবে এই তথ্য সম্পর্কে এখনও কোনও মন্তব্য করেনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE