Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
উপনির্বাচনে সাফল্য শাসকেরই

আসন বদলেও ‘আম্মা’ জয়ী দেড় লক্ষ ভোটে

আইনের আদালতে ছাড় পেয়েছেন কিছু দিন আগে। এ বার জনতার আদালতে বিপুল স্বস্তি পেলেন জয়রাম জয়ললিতা! তামিলনাড়ুর আর কে নগর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে দেড় লক্ষেরও বেশি ভোটে উপনির্বাচনে জিতলেন তিনি। একটি বিধানসভা আসন থেকে এমন বিপুল ব্যবধানে জয় তাঁদের ‘আম্মা’র বিরুদ্ধে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগ’-এর জবাব বলেই দাবি করছেন এডিএমকে সমর্থকেরা।

আম্মার জয়ের খবরে সমর্থকদের উল্লাস। ছবি: এএফপি।

আম্মার জয়ের খবরে সমর্থকদের উল্লাস। ছবি: এএফপি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০১৫ ১৬:১৫
Share: Save:

আইনের আদালতে ছাড় পেয়েছেন কিছু দিন আগে। এ বার জনতার আদালতে বিপুল স্বস্তি পেলেন জয়রাম জয়ললিতা! তামিলনাড়ুর আর কে নগর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে দেড় লক্ষেরও বেশি ভোটে উপনির্বাচনে জিতলেন তিনি। একটি বিধানসভা আসন থেকে এমন বিপুল ব্যবধানে জয় তাঁদের ‘আম্মা’র বিরুদ্ধে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগ’-এর জবাব বলেই দাবি করছেন এডিএমকে সমর্থকেরা।

আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তির মামলায় নিম্ন আদালত জয়ললিতাকে দোষী সাব্যস্ত করায় তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী পদ হারাতে হয়েছিল তাঁকে। সেই সঙ্গেই চলে গিয়েছিল বিধায়ক-পদও। পরে কর্নাটক হাইকোর্ট জয়াকে ওই মামলায় বেকসুর খালাস ঘোষণা করেছে। তার পরে ফের মুখ্যমন্ত্রীর আসনে ফিরেছেন ‘আম্মা’। যাতে তিনি বিধানসভাতেও ফিরতে পারেন, তার জন্য এডিএমকে-রই এক সতীর্থ বিধায়ক আর কে নগর আসনটি ছে়ড়ে দিয়েছিলেন। সেই আসনের উপনির্বাচনেই তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী মঙ্গলবার বিজয়ী ঘোষিত হয়েছেন ১ লক্ষ ৫১ হাজার ২৫২ ভোটে! তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিআই প্রার্থী সি মহেন্দ্রন পেয়েছেন মাত্র ৯ হাজার ৬৬৯টি ভোট। যেখানে জয়ললিতা একাই পেয়েছেন ১ লক্ষ ৬০ হাজার ৯২১ ভোট! প্রসঙ্গত, নিজের রাজনৈতিক জীবনে তামিলনাড়ুর একাধিক বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জিতে বিধায়ক হয়েছেন জয়া। সব চেয়ে বেশি বার তিনি জিতেছিলেন আন্ডিপাত্তি থেকে। পদ হারানোর আগে তিনি বিধায়ক ছিলেন শ্রীরঙ্গম থেকে। জয়ার বিদায়ের পরে ওই আসনের উপনির্বাচনেও এডিএমকে প্রার্থী জিতেছিলেন প্রায় লক্ষের কাছাকাছি ভোটে!

কর্নাটক হাইকোর্ট থেকে মুক্ত হওয়ার পরে উপনির্বাচনের প্রচারে নেমে জয়ার আবেদন ছিল, এই ভোটকেই তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্তকারীদের জবাব দেওয়ার জন্য কাজে লাগাতে হবে। সেই সঙ্গেই ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের মহড়াও সেরে ফেলতে হবে এখানেই। শেষ পর্যন্ত জনাদেশ বিপুল ভাবে পক্ষে আসায় স্বভাবতই খুশি ‘আম্মা’। কর্নাটকের রাজ্য সরকার অবশ্য হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে যত দিন না সেই ব্যাপারে নতুন কোনওএ নির্ধেস আসছে, তত দিন স্বস্তিতেই থাকবেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী।

এরই পাশাপাশি অন্যান্য রাজ্যেও এই পর্বের বিধানসভা উপনির্বাচনে সাফল্য পেয়েছে শাসক দলই। মধ্যপ্রদেশের একটি আসনে জয়ী হয়েছে ক্ষমতাসীন বিজেপি। কেরল বিধানসভার স্পিকার জি কার্তিকেয়নের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া আরুবিক্কারা আসনে জিতেছেন তাঁরই ছেলে, শাসক জোট ইউডিএফের প্রার্থী কে এস সবরীনাথন। মেঘালয়ের একটি আসনে জয়ী হয়েছেন শাসক কংগ্রেসের প্রার্থী। আবার ত্রিপুরার দু’টি আসন নিজেদের দখলে রেখেছে শাসক সিপিএম।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE