ফাইল চিত্র।
শ্রীনগরে গত লোকসভা উপ-নির্বাচনের সময়ে পাথর ছোড়া আটকাতে কাশ্মীরি যুবক ফারুক আহমেদ দার নামে এক যুবককে জিপের বনেটে বেঁধে ঘুরিয়েছিলেন সেনাবাহিনীর মেজর। সেই ছবি প্রচারের পরই বিতর্কের ঝড় ওঠে। এ বার সেই ফারুক দারকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারকে সুপারিশ করল জম্মু ও কাশ্মীরের মানবাধিকার কমিশন। সুপারিশ কার্যকর করতে জম্মু ও কাশ্মীর সরকারকে ৬ সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে জানাতে হবে, সুপারিশ কার্যকর করা হয়েছে কি না। ইন্টারন্যাশনাল ফোরাম ফর জাস্টিস অ্যান্ড প্রটেকশন অব হিউম্যান রাইটস সংগঠনের চেয়ারম্যান আহসান অন্তুর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই সোমবার কমিশনের এই রায়।
এ দিন কমিশন বলে, ‘মানব ঢাল’ হিসেবে ব্যবহার করার ফলে দারকে ‘শারীরিক, মানসিক নির্যাতন, অপমান সইতে হয়েছে। অন্যায় ভাবে বন্দি থাকতে হয়েছে। কমিশনের চেয়ারপার্সন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বিলাল নাজকি বলেন, ‘‘ওঁকে যে নির্যাতন, হয়রানি, হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে, সে ব্যাপারে আমার কোনও সংশয় নেই। এর ফলে ওঁকে গভীর মানসিক যন্ত্রণা ভুগতে হয়েছে, তার দাগ হয়তো সারা জীবন ওঁর মনে থেকে যাবে।’’
আরও পড়ুন: চিনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকে রাহুল, অস্বীকার করেও ঢোঁক গিলল কংগ্রেস
পুলিশ রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছিল, দারকে সেনা জিপের বনেটে বেঁধে মানব ঢাল করার কথা। সেই প্রসঙ্গ তুলে এ দিন কমিশন বলে, দারের সঙ্গে যে আচরণ হয়েছে, তা মানবাধিকার লঙ্ঘন ছিল, সে বিষয়ে বিতর্কের কোনও অবকাশই নেই। তবে, কমিশনের হাত-পা বাঁধা, ১৯৯৩-এর মানবাধিকার সুরক্ষা আইনের ফলে সেনার আচরণ খতিয়ে দেখতে পারে না কমিশন।
লোকসভা উপ-নির্বাচনের সময় এই ‘মানব ঢাল’ ব্যবহার করা নিয়ে বিতর্ক হয়েছে বিস্তর। পরে এক সাক্ষাৎকারে মেজর গগৈয়ের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়ত। মেজর গগৈকে সম্মানিতও করে সেনা। এই খবরে ক্ষোভ চেপে রাখতে পারেননি ফারুক দার। মেজর জেনারেল গগৈকে পুরস্কৃত করে সেনাবাহিনী মোটেই ন্যায়বিচার করেনি বলেও সরব হয়েছিলেন দার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy