নাগা চুক্তির ফলে প্রতিবেশী কোনও রাজ্যের ভৌগোলিক অখণ্ডতা নষ্ট হবে না বলে আশ্বাস দিলেন রাজনাথ সিংহ। খাস নাগাল্যান্ডের মাটিতে দাঁড়িয়েই অসম, অরুণাচল, মণিপুরের আশঙ্কা উড়িয়ে এই ঘোষণা করেছেন তিনি। গত কাল কিসামায় হর্নবিল উৎসবে যোগ দিতে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
ভারত-নাগা শান্তি চুক্তি আসন্ন। বড়দিনের আগেই চুক্তির ইঙ্গিত দিয়েছেন নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী, এনএসসিএন আই-এম নেতারা। আগামী বছরে ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই নাগা চুক্তি সেরে ফেলার দাবি জানিয়েছে রাজ্য সরকার। সম্প্রতি রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দও নাগাল্যান্ড সফর শেষে টুইট করে জানান, নাগা চুক্তি আসন্ন। এই চুক্তির ফলে প্রতিবেশী রাজ্যগুলির নাগা অধ্যুষিত এলাকাগুলির শাসনভার নাগাদের হাতে যেতে পারে বলে বিভিন্ন গুজব ছড়িয়েছে। আশঙ্কায় রয়েছে অসম, মণিপুর, অরুণাচল। তিন রাজ্যেই বিজেপির জোট সরকার। তারা এ নিয়ে কেন্দ্রের কাছে ব্যাখ্যা চাইছে। এই পরিস্থিতিতে রাজনাথ বলেন, ‘‘নাগা চুক্তি নিয়ে অযথা আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। এই চুক্তির ফলে কোনও রাজ্যের অখণ্ডতা বা ভৌগোলিক সীমায় বদল আসবে না।’’ তিনি আরও দাবি করেন, উত্তর-পূর্বে জঙ্গি সন্ত্রাস ৮০ শতাংশ কমেছে।
অন্য দিকে নাগাল্যান্ডের শাসক জোট ড্যান-এর প্রধান দল এনপিএফের অন্তর্দ্বন্দ্ব কাটতে চলেছে। মূল দলের সভাপতি তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সুরহোঝেলি লিঝিৎসুর নেতৃত্বকে সম্মান জানিয়ে দলের কার্যবাহী সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন সাংসদ ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নেফিয়ু রিও। এর পর বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী টি আর জেলিায়াং, সুরহোঝেলিদের মধ্যে গোপন শান্তি বৈঠক হয়। দলীয় সূত্রে খবর, শীঘ্রই আপসের সূত্র অনুযায়ী মন্ত্রিসভায় রদবদল হবে। জেলিয়াং ছাড়া সব মন্ত্রী পদত্যাগ করবেন। জেলিয়াং বলেন, ‘‘নাগা চুক্তি আসন্ন। এই সময় সব বিভেদ ভুলে সকলকে হাত মিলিয়ে চলতে হবে। মতানৈক্য সরিয়ে নাগাদের স্বার্থে একজোট হওয়ার সময় এসেছে। খাপলাং গোষ্ঠীর কাছেও শান্তি প্রক্রিয়ায় যোগ দেওয়ার বার্তা পাঠানো হচ্ছে। আশা করি বিধানসভা নির্বাচনের আগেই নাগা সংকট মিটে যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy