উত্তরপ্রদেশে সদ্য জেতা মেয়রদের গুজরাতের ভোটে নামাচ্ছে বিজেপি।
সদ্য সমাপ্ত পুরভোটে উত্তরপ্রদেশের ১৬ টি শহরের মধ্যে ১৪টিতেই জিতেছে নরেন্দ্র মোদীর দল। আগামিকাল নবনির্বাচিত বিধায়করা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন। উত্তরপ্রদেশ বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বিজয় বাহাদুর পাঠক জানিয়েছেন, তার পরেই ওই মেয়রেরা ভোটের প্রচার করতে যাবেন গুজরাতে। যেখানে যেখানে তাঁদের ব্যবহার করা প্রয়োজন, প্রচারের সেই কর্মসূচি গুজরাতে দলের নেতারা ঠিক করবেন। মোদীর রাজ্যে ভোট ৯ ও ১৪ ডিসেম্বর। তার দু’দিন আগে প্রচারপর্ব শেষ। এর আগে উত্তরপ্রদেশের পুরভোটের জয়কে মানুষের সামনে তুলে ধরতে চান মোদী-অমিত শাহরা।
মঙ্গলবার মোদীর সঙ্গে যাঁরা দেখা করবেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন অমেঠী নগর পঞ্চায়েতের চেয়ারপার্সন চন্দ্রমা দেবী। অমেঠীতে কংগ্রেস যদিও প্রার্থী দেয়নি, তবে সেখানে তাদের জয়কে বড় করে দেখাতে চাইছে বিজেপি। কারণ অবশ্যই রাহুল গাঁধী। শুধু অমেঠীতে ধাক্কাই নয়, গাঁধী পরিবারের আর এক গড় গৌরীগঞ্জেও এ বার হেরেছে কংগ্রেস। গাঁধী পরিবারের দুর্গে তাঁদের এই বিপর্যয়কেই গুজরাতের ভোটারদের সামনে তুলে ধরতে চাইছে বিজেপি। রাহুলকে নিশানা করে দলের নেতারা বলছেন, যিনি নিজের সংসদীয় কেন্দ্রের ভোটারদের সমর্থন পান না, তিনি গুজরাতে এসে কী করবেন? উত্তরপ্রদেশের মতো গুজরাতেও মানুষ বেছে নেবে বিজেপিকেই।
তবে উত্তরপ্রদেশের ভোট নিয়ে বিজেপি ঢাক পেটাতে চাইলেও নগর পঞ্চায়েতে তাদের ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব। তাঁর মতে, ‘‘বিজেপি হল মিথ্যে কথা বলার দল। ইভিএমে ভোট হয়েছে যেখানে, সেই ১৬ জন মেয়র আসনের ১৪টিতেই জিতেছে তারা। কিন্তু নগর পালিকা ও নগর পরিষদের ভোটে হার নিয়ে আলোচনাই করছে না বিজেপি।’’
উত্তরপ্রদেশের ভোটে ইভিএমের ব্যবহার নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অখিলেশ। সপার নেতার মন্তব্য, ‘‘ভারতের থেকেও উন্নত দেশগুলি যদি ভোটে ব্যালট পেপার ব্যবহার করে, তা হলে এখানে ব্যালটে ভোট হতে সমস্যা কোথায়?’’ অখিলেশের দাবি, খারাপ হয়ে যাওয়া ইভিএম কী ভাবে মেরামত কর হয়, তা জানাক নির্বাচন কমিশন। কারণ, তাঁর মতে, ইভিএম মেরামতি সম্ভব হয়, তা হলে ঠিক ভাবে চলছে— এমন ভোটযন্ত্রকে বিকল করা দেওয়াও সম্ভব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy