গুরমিত রাম রহিম
গুরমিত রাম রহিমের ডেরা সচ্চা সৌদার বিরুদ্ধে বেআইনি আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ নিয়ে তদন্তের জন্য আয়কর দফতর ও ইডিকে নির্দেশ দিল পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট। আর রাম রহিমের গ্রেফতারির পরে পঞ্চকুলায় তার সমর্থকদের হামলায় যে সব ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা ওই সংস্থার থেকেই আদায় করার জন্য পদক্ষেপ করতে বুধবার হরিয়ানা ও পঞ্জাব সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এ ব্যাপারে মানুষের থেকে ক্ষয়ক্ষতির অভিযোগ নিতে রাজ্যগুলিকে ট্রাইব্যুনাল গড়তে বলা হয়েছে।
সিরসায় ডেরার সাম্রাজ্য গড়ে তুলতে হরিয়ানার একের পর এক রাজ্য সরকার যে ভাবে সাহায্য করে এসেছে, তা নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। হরিয়ানা সরকারকে এই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলেছে হাইকোর্টের বেঞ্চ। এই মূহূর্তে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রশ্ন যখন সামনে এসেছে, তখন ডেরা সচ্চা সৌদার সম্পত্তির পরিমাণ ঠিক কত, তারও হিসেব করেছে হরিয়ানা সরকার। তাদের রিপোর্টে বলা হয়েছে, শুধুমাত্র হরিয়ানাতেই প্রায় ১৬০০ কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে ডেরার। তবে রাজ্যের বাইরে ডেরার যে সম্পত্তি, তার হিসেব করা হয়নি। যদিও প্রশাসনের অনেকেই মনে করছেন, ডেরার সম্পত্তির বাজারমূল্য ১৬০০ কোটি টাকার অঙ্কের থেকে অনেক বেশি। আদালত এ দিন হরিয়ানা সরকারকে বলেছে, কোর্ট কমিশনার নজরদারির করার আগে সিরসায় ডেরার সদর দফতর থেকে কোনও সম্পত্তি বের করে নেওয়া হয়েছে কিনা, কোর্টকে সেই তথ্য দেওয়া হোক।
ধর্ষণের মামলায় রাম রহিমের সাজা ঘোষণার আগে হরিয়ানা ও পঞ্জাবে সরকারি খরচে নিরাপত্তার ব্যাপক ব্যবস্থা করা হয়। তা সত্ত্বেও সিরসা থেকে পঞ্চকুলার কোর্ট পর্যন্ত ডেরা সমর্থকদের আসার অনুমতি দেয় হরিয়ানার মনোহরলাল খট্টরের সরকার। সাজা ঘোষণা হতেই তাণ্ডব শুরু করে গুরমিতের সমর্থকরা। ক্ষুব্ধ পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট ক্ষয়ক্ষতির যাবতীয় টাকা ডেরার থেকে তোলার জন্য নির্দেশ দিয়েছিল। আজ এই বিষয় নিয়ে আরও এগিয়ে গিয়ে ট্রাইব্যুনাল গড়তে রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy