সাংবাদিক বৈঠকে লালু। ছবি:রয়টার্স।
মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরেই নীতীশ কুমারের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদব। তাঁর দাবি, নীতীশের বিরুদ্ধে খুন ও অস্ত্র আইনে মামলা চলছে। সেই মামলা থেকে রেহাই পাবেন না জেনেই ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। নীতীশ কুমারের বিরুদ্ধে জোটধর্ম পালন না করার অভিযোগও এনেছেন লালু। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘খুনের মামলায় অভিযুক্ত হয়ে কী ভাবে মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসেছিলেন তিনি?’’
আরও পড়ুন: গুজরাত থেকে রাজ্যসভায় প্রার্থী হচ্ছেন অমিত শাহ
এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে লালুপ্রসাদ বলেন, ‘‘যখনই নীতীশ কুমার কোনও সমস্যায় পড়েছেন আমি তাঁকে সাহায্য করতে এগিয়ে গিয়েছি। কিন্তু রাজ্যবাসীর গালে চড় মারলেন তিনি। দাঙ্গাবাজ একটা দলের সঙ্গে হাত মেলাতে চলেছেন।’’ মহাজোট সরকারের বৃহত্তম শরিক তথা লালুপ্রসাদের দল আরজেডি-র সঙ্গে বেশ কিছু দিন ধরেই নানা ইস্যুতে টানাপড়েন চলছিল নীতীশ কুমারের। দুর্নীতি মামলায় লালু এবং তাঁর ছোট ছেলে তথা বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বীপ্রসাদ যাদব সিবিআই তদন্তের মুখে পড়ায় সেই টানাপড়েন আরও বাড়ে। নীতীশের দল জেডি(ইউ) তেজস্বীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনলেও তা মানতে নারাজ ছিল আরজেডি। অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত তেজস্বীর, এও বলেছিল নীতীশের দল। কিন্তু এ দিন সেই সম্ভাবনার কথা পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছেন আরজেডি সুপ্রিমো। বরং সাংবাদিকদের প্রশ্নের সামনে পাল্টা তোপ দেগেছেন লালু। তাঁর কথায়, ‘‘নীতীশ কি তেজস্বীকে ইস্তফা দিতে বলেছিলেন? জেডি (ইউ) কি পুলিশ নাকি ওদের কাছে জবাবদিহি করতে হবে?’’ বর্তমান সঙ্কটের জন্য বিজেপিকে দায়ী করে লালু এ দিন বলেন, ‘‘বিজেপি নীতীশকুমারকে সঙ্গী করে ফিরতে চাইছে। সব দেখছি আমি।’’
জোট ভাঙার দায় এ দিন ঘুরিয়ে নীতীশের উপরই চাপিয়ে দিয়েছেন লালু। তাঁর দাবি, গতকাল রাতেই নীতীশের সঙ্গে সব ভুল বোঝাবুঝি মেটানোর চেষ্টা করেছেন তিনি। কিন্তু মহাজোটের ভার বহন করতে পারেনি নীতীশ নিজেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy