Advertisement
১০ মে ২০২৪

ধর্ষণ রুখতে মোবাইল বন্ধের প্রস্তাব কর্নাটকে

পুলিশ-প্রশাসন রুখতে পারছে না একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা। এমতাবস্থায় মেয়েদের সুরক্ষায় নতুন পথের সন্ধান দিল কর্নাটক বিধানসভার নারী ও শিশু কল্যাণ কমিটি। ধর্ষণ প্রতিরোধে স্কুল, কলেজে মোবাইল ফোনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব রাখলেন ২৩ বিধায়কের ওই কমিটি। খবর প্রকাশ্যে আসতেই উত্তেজনা ছড়ায় রাজ্য জুড়ে।

সংবাদ সংস্থা
বেঙ্গালুরু শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০১৪ ০২:৪০
Share: Save:

পুলিশ-প্রশাসন রুখতে পারছে না একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা। এমতাবস্থায় মেয়েদের সুরক্ষায় নতুন পথের সন্ধান দিল কর্নাটক বিধানসভার নারী ও শিশু কল্যাণ কমিটি। ধর্ষণ প্রতিরোধে স্কুল, কলেজে মোবাইল ফোনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব রাখলেন ২৩ বিধায়কের ওই কমিটি। খবর প্রকাশ্যে আসতেই উত্তেজনা ছড়ায় রাজ্য জুড়ে।

বৃহস্পতিবার অধিবেশন চলাকালীন প্রস্তাবটি পেশ করা হয় বিধানসভায়। শকুন্তলা শেট্টির নেতৃত্বাধীন কমিটি জানায়, মোবাইল ফোনের ব্যবহার ক্রমশ বিপথে নিয়ে যাচ্ছে পড়ুয়াদের। যার জেরে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অপরাধের সংখ্যা। কমিটির মত, কর্নাটক সরকারের উচিত অবিলম্বে স্কুল-কলেজে মোবাইল ফোনের ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষণা করা। তা বাদে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের বাড়বাড়ন্ত নিয়েও আপত্তি জানায় কমিটি। বলা হয়, পড়ুয়াদের অপরাধ জগৎ থেকে দূরে রাখতে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট থেকে দূরে রাখতে হবে তাদের। স্মার্ট ফোনে নতুন নতুন বন্ধু পাতানোর অভ্যেসও বিপজ্জনক বলে দাবি করেছে কমিটি। শকুন্তলা শেট্টি জানান, নাবালিকা নিগৃহীতাদের সঙ্গে একাধিকবার ব্যক্তিগত ভাবে কথা বলেছেন তাঁরা। জেনেছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মোবাইল ফোনে মিস্ড কলের সূত্র ধরে অপরিচিত বন্ধু পাতিয়ে বিপদে পড়েছেন তারা। কমিটি প্রধান তাই বলেন, “সব দিক খতিয়ে দেখেই মোবাইলের ব্যবহার নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করেছি। পড়ুয়াদের জন্য মোবাইল ফোন কখনওই জরুরি নয়।”

নারী ও শিশু কল্যাণ কমিটি যে প্রস্তাবটি পেশ করেছে তাতে দিল্লি, বদায়ূঁ গণধর্ষণের উল্লেখ রয়েছে। কমিটি জানিয়েছে, মেয়েদের বিরুদ্ধে অপরাধের প্রবণতা কমাতে স্কুল-কলেজ চত্বরে অল্প সময়ের ব্যবধানে আলোচনাসভা এবং সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান আয়োজন করতে হবে। ধর্ষণ বা নারী নিগ্রহের অভিযোগগুলির ক্ষেত্রে পুলিশের ভূমিকা কী, তাদের কাজে আদৌ স্বচ্ছতা রয়েছে কি না তা জানতে সমস্ত থানায় বসাতে হবে সিসিটিভি। প্রস্তাবে প্রতিটি থানায় অন্তত ২০ শতাংশ মহিলা পুলিশ মোতায়েন এবং অতিরিক্ত মহিলা থানা গঠনের প্রয়োজনীয়তার কথা বলা হয়েছে। থানাগুলিতে মহিলাদের জন্য পৃথক শৌচাগার থাকা জরুরি বলেও জানানো হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE