কোলাকুলি: লালুর সঙ্গে শরদ যাদব। পিছনে তেজপ্রতাপ যাদব। রবিবার পটনার গাঁধী ময়দানে। ছবি: পিটিআই।
নীতীশ শিবিরের ফরমান উড়িয়ে লালুপ্রসাদের সমাবেশে হাজির হওয়ায় জেডিইউ-এর কোপে পড়তে চলেছেন শরদ যাদব। দলের মুখপাত্র কে সি ত্যাগী জানিয়েছেন, দল-বিরোধী কাজ করেছেন শরদ। তাঁর রাজ্যসভার সাংসদ পদ খারিজ করার জন্য আবেদন জানানো হবে।
এ দিনের সভায় নাম না করে শরদ বিঁধেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রীকে। বলেছেন, ‘‘দেশ ও রাজনীতি কোন পথে যাচ্ছে তা সহজেই বোঝা যায়। বিপথে গিয়ে আমার ছায়াই এখন আমার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করছে!’’ সভার আগে সাংবাদিকদেরও শরদ বলেন, ‘‘এক-দু’মাস অপেক্ষা করুন। সবার সামনে প্রমাণ করে দেব আমরাই আসল জেডিইউ।’’
শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত শরদকে গাঁধী ময়দানের সমাবেশে না-যাওয়ার বার্তা দিয়েছিল নীতীশ শিবির। জেডিইউ নেতা কে সি ত্যাগী তাঁকে চিঠিতে জানিয়েছিলেন— ‘সভায় হাজির হলে এটাই স্পষ্ট হবে যে আপনি স্বেচ্ছায় দল ছাড়লেন।’ মঞ্চে উঠে লালুর সঙ্গে শরদের গলাগলিতে ক্ষুব্ধ নীতীশ যে কোনও সময় তাঁকে বহিষ্কার করতে পারে বলেও জল্পনা ছড়ায় বিহারে। দমেননি শরদ। লালুর সমাবেশে নীতীশ শিবিরের দিকে পরপর গোলা দেগেছেন। মঞ্চে উঠতেই তাঁকে আলিঙ্গন করেন লালু। সমাদরে বসান সোফায়। বক্তৃতায় শরদ বলেন, ‘‘বিহারে যাঁরা মহাজোট ভেঙেছেন, তাঁদের একটা কথা জানাতে চাই। হিন্দুস্তান জুড়ে বিহারের মডেলেই আমরা মহাজোট গড়বো।’’
তাঁর মন্তব্য, ‘‘রাজনীতির সঙ্গে ধর্ম জুড়লে যে কী হয়, আফগানিস্তান, ইরাক, পাকিস্তানে তা দেখা গিয়েছে।’’
প্রাক্তন সভাপতির সঙ্গে এ দিন লালুপ্রসাদের ‘বিজেপি ভাগাও, দেশ বাঁচাও’ সমাবেশে হাজির ছিলেন জেডিইউ থেকে বহিষ্কৃত সাংসদ আলি আনোয়ার, প্রাক্তন মন্ত্রী রামাইয়া রামের মতো নেতারা। শরদ অনুগামীরা জানিয়েছেন, নীতীশ শিবিরের সিদ্ধান্তের পরই তাঁরা নিজেদের অবস্থান ঠিক করবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy