দু’মাস পর আগামিকালই গুজরাত থেকে ফের জনসভা শুরু করছেন রাহুল গাঁধী। আর শুধু রাহুল নন, শরীর সুস্থ থাকলে এ বারে দিল্লির বাইরে ফের প্রচারে নামবেন সনিয়া গাঁধীও।
গত বছর অগস্টে বারাণসীতে রোড-শো করার সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন সনিয়া। তড়িঘড়ি তাঁকে দিল্লি উড়িয়ে আনা হয়। তার পর বেশ কয়েক বার তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসার জন্য বিদেশেও যান। অসুস্থতার কারণে উত্তরপ্রদেশে প্রচারে বেরোননি। শুধু অমেঠী-রায়বরেলীর জন্য একটি ভিডিও বার্তা পাঠিয়েছিলেন। এখন রাহুলের পাশাপাশি সনিয়াকে দিয়েও প্রচার করানোর আবেদন আসছে বিভিন্ন রাজ্য থেকে। কংগ্রেসের এক সূত্রের মতে, শরীর সায় দিলে এ বারে প্রচারে বেরোবেন সনিয়া। মে মাসেই তাঁর কিছু সফরসূচি তৈরি হচ্ছে।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধী জোটকে ঐক্যবদ্ধ করতে সনিয়া ইতিমধ্যেই ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। দশ জনপথে বসেই পর পর বৈঠক করছেন বিভিন্ন আঞ্চলিক দলের নেতাদের সঙ্গে। সম্প্রতি শরদ পওয়ার দেখা করেছেন সনিয়ার সঙ্গে। পওয়ার, গুলাম নবি আজাদ-সহ কয়েক জন নেতার মাধ্যমে যোগাযোগ করে বিজেডি, এডিএমকে এমনকী শিবসেনাকেও কাছে টানতে চাইছেন তিনি। লক্ষ্য, রাষ্ট্রপতি ভোটে সব অ-বিজেপি দলের কোনও এক জন প্রার্থীকে দাঁড় করানো। মে মাসেই এই দলগুলির সঙ্গে তিনি বৈঠকে বসতে পারেন বলে কংগ্রেস সূত্রের খবর। পাশাপাশি রাহুলের টিম তৈরি করতে দলে ‘সার্জারি’র কাজটিও করছেন পুরোদমে। দিগ্বিজয় সিংহ, গুরুদাস কামাতের মতো ওজনদার নেতাদের সরিয়ে দায়িত্ব বাড়াচ্ছেন নবীনদের। যা দেখে অনেকই বলছেন, উত্তরপ্রদেশে রাহুল দাগ কাটতে ব্যর্থ হওয়ার পরে দলের রাশ ফের নিজের হাতে তুলে নিয়েছেন সনিয়া।
আরও পড়ুন:একসঙ্গে ভোট করাতে রাজ্যকে বোঝাবে নীতি আয়োগ
ক’দিন আগে পওয়ারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন রাহুল। তাঁকে পওয়ার বলেছেন, রাজনীতিতে ধারাবাহিকতা বজায় রাখাটা জরুরি। দু’মাস রাজ্য সফর করে দশ দিনের জন্য হঠাৎ উধাও হয়ে যাওয়াটা আদৌ সদর্থক বার্তা দেয় না। বিশেষ করে এই মুহূর্তে, যখন বিজেপিকে টক্কর দেওয়ার জন্য বিরোধীদের একটি বিকল্প হয়ে উঠতে হবে। আর বড় দল হিসেবে কংগ্রেসকেই নেতৃত্ব দিতে হবে।
রাহুল অবশ্য আগামিকাল থেকেই প্রচারে নামছেন। গুজরাতে গুরুদাস কামাতকে সরিয়ে দায়িত্বে আনা হয়েছে অশোক গহলৌতকে। কংগ্রেসের এক নেতার মতে, মোদীর রাজ্য গুজরাতে বিজেপিকে হারাতে উদ্যোগী সনিয়া-রাহুল। তাই হতে পারে, সনিয়ার সফর গুজরাত থেকেই শুরু হবে। রাহুলের সফরের পরেই গুজরাতের কংগ্রেস নেতৃত্ব কৃষক-যাত্রা শুরু করছেন। শরীর সুস্থ থাকলে এই যাত্রা শেষে কংগ্রেস সভানেত্রীকে গুজরাতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy