বায়ুসেনা ঘাঁটিতে তল্লাশি চালাচ্ছেন জওয়ানরা। ছবি: এএফপি।
পাঠানকোটে জঙ্গি হামলার জেরে আহত তিন জওয়ানের মৃত্যু হল রবিবার। জঙ্গি হামলায় এই নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬। শনিবারেই বায়ুসেনা ঘাঁটিতে জঙ্গিদের নিকেশ করতে গিয়ে নিহত হয়েছিলেন ৩ জওয়ান। আহত হয়েছিলেন বেশ কয়েক জন জওয়ান। হাসপাতালেই এ দিন মৃত্যু হয় ওই তিন জনের। এ দিকে, এ দিন সকালে বায়ুসেনা ঘাঁটিতে তল্লাশি চালানোর সময় গ্রেনেড নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন আরও চার জওয়ান। আহতদের মধ্যে ছিলেন এনএসজি-র লেফটেন্যান্ট কর্নেল নিরঞ্জন। তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে সেনা সূত্রে খবর।
এই ঘটনার পরই নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে জম্মু, অবন্তীপুর, শ্রীনগর এবং উধমপুরের বায়ুসেনা ঘাঁটিগুলিতে। সূত্রের খবর, জঙ্গিরা একটি ইনোভা গাড়ি ভাড়া করে পাকিস্তান থেকে এসেছিল। সীমান্তে আসার পর ওই গাড়ি চালককে গুলি করে মারে তারা।
জঙ্গি হামলার ১২ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই এ দিন সাতসকালেই ফের গুলির শব্দ শোনা যায় পাঠানকোটের বায়ুসেনা ঘাঁটিতে। এনএসজি-র তল্লাশি চালাকালীন দু’রাউন্ড গুলি শব্দ শোনা যায় বলে সূত্রের খবর। ফের জঙ্গি হামলার আতঙ্ক ছড়ায় গুলির শব্দে। কিন্তু এনএসজি সূত্রে জানানো হয়, বায়ুসেনা ঘাঁটিতে সন্দেহজনক কিছু দেখার পরই গুলি চালায় জওয়ানরা। জোর কদমে তল্লাশি শুরু করে এনএসজি ও পঞ্জাব পুলিশ।। কোথাও কোনও জঙ্গি রয়েছে কিনা তা-ও খতিয়ে দেখছে যৌথবাহিনী। শনিবার ১৬ ঘণ্টার লড়াইয়ের পর ৪ জঙ্গিকে খতম করে এনএসজি। রাতভর চিরুনি তল্লাশি চালানো বায়ুসেনা ঘাঁটি এবং সংলগ্ন এলাকায়। পাশাপাশি হেলিকপ্টারের মাধ্যমেও নজরদারি চালানো হয়।
এই সংক্রান্ত আরও খবর...
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy