এখনও থিতু হতে পারেননি। রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতরের দখল নিতে ছুটতে হচ্ছে সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের কাছে। তার উপরে, মুখ্যমন্ত্রী পদে নিজের নাম ঘোষণার পর থেকেই হিন্দুত্ব-প্রসারের অভিযোগ শুনছেন অহরহ। আবার আজই শীর্ষ আদালতে রামমন্দির। এই প্রেক্ষাপটেই আজ ঝটিকা সফরে দিল্লি এলেন উত্তরপ্রদেশের নতুন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। উদ্দেশ্য, পুরনো অভিযোগ ঘুচিয়ে নিজেকে ‘উন্নয়ন-পুরুষ’ হিসেবে মেলে ধরা।
রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, আডবাণী, অমিত, রাজনাথ, জেটলি, সুষমাদের সঙ্গে দেখা করার ফাঁকেই সাংসদ হিসেবে লোকসভায় বিদায়ী বক্তৃতা দিলেন যোগী। আর সেখানেই নরেন্দ্র মোদীকে বিশ্বের ‘আইকন’ অ্যাখ্যা দিয়ে বললেন, প্রধানমন্ত্রীর ‘স্বপ্নের রাজ্য’ হবে উত্তরপ্রদেশ। দুর্নীতি, দাঙ্গা, গুন্ডারাজ হবে না। ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশই’ মন্ত্র। সেই সঙ্গে হাসিমুখেই রাহুল গাঁধী এবং অখিলেশ যাদবকে খোঁচা দিয়ে বললেন, ‘‘আমি রাহুলজির চেয়ে এক বছরের ছোট। অখিলেশ যাদবের থেকে এক বছরের বড়। দু’জনের জুটির মাঝখানে আমি ঢুকে পড়েছি বলেই হয়তো আপনাদের জুটি সফল হল না।’’
মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে ভূরি-ভূরি বিতর্কিত মন্তব্যের নজির আছে যোগীর। বিজেপি সূত্রের মতে, আজ সেই ভাবমূর্তি মুছে প্রশাসক হিসেবে পরিচিত হতে চাইলেন তিনি। যদিও দলের অন্দরের খবর, রাজ্যের দায়িত্ব পেয়ে এখন বিপুল চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড়িয়ে যোগী। উত্তরপ্রদেশে স্বরাষ্ট্র দফতর সাধারণত মুখ্যমন্ত্রীর কাছেই থাকে। কিন্তু এখন উপ-মুখ্যমন্ত্রী কেশবপ্রসাদ মৌর্য তা চেয়ে বসেছেন। অথচ মৌর্যর বিরুদ্ধে মামলাও তো রয়েছে অনেক। এ নিয়েই আজ অমিত শাহের মধ্যস্থতা চান যোগী। স্বরাষ্ট্র নিয়ে চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হলেও অন্য মন্ত্রীদের দফতর অনুমোদন করিয়ে নিয়েছেন যোগী। কৃষি ঋণ মকুব নিয়েও কেন্দ্রের হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়েছেন মোদী-জেটলির কাছে। ঘরোয়া মহলে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীও বলেছেন, উত্তরপ্রদেশকে যথাসম্ভব সাহায্য করা হবে।
আজই রামমন্দির জট কাটাতে সব পক্ষকে আলোচনায় বসার পরামর্শ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সংসদ চত্বরে যোগীকে গোটা বিষয়টি জানান সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। সংযমী থেকে যোগীও বলেন, দু’পক্ষকে বসিয়ে সমাধানের জন্য যথাসম্ভব চেষ্টা করবে উত্তরপ্রদেশ সরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy