Advertisement
০৫ মে ২০২৪
Remo Fernandes

তাঁর গানেই ‘মুন্নি’কে প্রথম চিনেছিল দেশ, এখন কী করেন রেমো ফার্নান্ডেজ়

রেমোর কণ্ঠে ‘ও মেরি, মুন্নি’ গানটিও জনপ্রিয় হয়েছিল। মণি রত্নম, এ আর রহমানের সঙ্গে কাজও করেছেন রেমো। কিন্তু এখন বলিউডে তাঁর গান শোনা যায় না কেন?

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০২৩ ১১:২৯
Share: Save:
০১ ২২
২০১০ সাল। ‘দবাং’ ছবির ‘মুন্নি বদনাম’ গানটি এতটাই জনপ্রিয় যে, এখনও জমজমাট অনুষ্ঠানে অন্তত এক বার হলেও এই গানটি বাজানো হয়। কিন্তু নব্বইয়ের দশকে হিন্দি সঙ্গীতজগতে ‘মুন্নি’র সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল শ্রোতা-দর্শকের। সঙ্গীতশিল্পী ছিলেন রেমো ফার্নান্ডেজ়। রেমোর কণ্ঠে ‘ও মেরি মুন্নি’ গানটিও জনপ্রিয় হয়েছিল। মণি রত্নম, এ আর রহমানের সঙ্গে কাজও করেছেন রেমো। কিন্তু এখন বলিউডে তাঁর গান শোনা যায় না কেন? সঙ্গীতজগৎ থেকে কি উধাও হয়ে গিয়েছেন তিনি?

২০১০ সাল। ‘দবাং’ ছবির ‘মুন্নি বদনাম’ গানটি এতটাই জনপ্রিয় যে, এখনও জমজমাট অনুষ্ঠানে অন্তত এক বার হলেও এই গানটি বাজানো হয়। কিন্তু নব্বইয়ের দশকে হিন্দি সঙ্গীতজগতে ‘মুন্নি’র সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল শ্রোতা-দর্শকের। সঙ্গীতশিল্পী ছিলেন রেমো ফার্নান্ডেজ়। রেমোর কণ্ঠে ‘ও মেরি মুন্নি’ গানটিও জনপ্রিয় হয়েছিল। মণি রত্নম, এ আর রহমানের সঙ্গে কাজও করেছেন রেমো। কিন্তু এখন বলিউডে তাঁর গান শোনা যায় না কেন? সঙ্গীতজগৎ থেকে কি উধাও হয়ে গিয়েছেন তিনি?

০২ ২২
১৯৫৩ সালের ৮ মে গোয়ায় জন্ম রেমোর। তাঁর আসল নাম লুই রেমো দে মারিয়া বেরনার্দো ফার্নান্ডেজ়। কেরিয়ার শুরু করার আগে নিজের নামে কাঁচি চালিয়ে শুধু রেমো নামটিই ব্যবহার করতেন তিনি।

১৯৫৩ সালের ৮ মে গোয়ায় জন্ম রেমোর। তাঁর আসল নাম লুই রেমো দে মারিয়া বেরনার্দো ফার্নান্ডেজ়। কেরিয়ার শুরু করার আগে নিজের নামে কাঁচি চালিয়ে শুধু রেমো নামটিই ব্যবহার করতেন তিনি।

০৩ ২২
সঙ্গীতের সঙ্গে রেমোর পরিচয় সাত বছর বয়স থেকে। তাঁর এক তুতো ভাই লন্ডন থেকে রক ঘরানার বিখ্যাত ব্যান্ডের অ্যালবাম উপহার দিয়েছিলেন রেমোকে। এই প্রসঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে রেমো বলেছিলেন, ‘‘দ্য রোলিং স্টোনস, ক্লিফ রিচার্ড, দ্য শ্যাডোজ়, দ্য বিটল্‌‌স-এর গান শুনে আমার বড় হওয়া। এই গানগুলি আমাকে নানা ভাবে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।’’

সঙ্গীতের সঙ্গে রেমোর পরিচয় সাত বছর বয়স থেকে। তাঁর এক তুতো ভাই লন্ডন থেকে রক ঘরানার বিখ্যাত ব্যান্ডের অ্যালবাম উপহার দিয়েছিলেন রেমোকে। এই প্রসঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে রেমো বলেছিলেন, ‘‘দ্য রোলিং স্টোনস, ক্লিফ রিচার্ড, দ্য শ্যাডোজ়, দ্য বিটল্‌‌স-এর গান শুনে আমার বড় হওয়া। এই গানগুলি আমাকে নানা ভাবে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।’’

০৪ ২২
স্কুলে পড়ার সময় নিজের কয়েক জন বন্ধুবান্ধবকে নিয়ে একটি গানের ব্যান্ড তৈরি করেন রেমো। ছাত্রজীবনেই গিটারে হাতেখড়ি হয়েছিল তাঁর। ১৪ বছর বয়সে প্রথম গান লেখা শুরু রেমোর। গোয়াতে যে কোনও সঙ্গীত প্রতিযোগিতাতেই অংশগ্রহণ করতেন তিনি। সঙ্গীতশিল্পী হিসাবে বিভিন্ন পুরস্কারও জিতেছিলেন রেমো।

স্কুলে পড়ার সময় নিজের কয়েক জন বন্ধুবান্ধবকে নিয়ে একটি গানের ব্যান্ড তৈরি করেন রেমো। ছাত্রজীবনেই গিটারে হাতেখড়ি হয়েছিল তাঁর। ১৪ বছর বয়সে প্রথম গান লেখা শুরু রেমোর। গোয়াতে যে কোনও সঙ্গীত প্রতিযোগিতাতেই অংশগ্রহণ করতেন তিনি। সঙ্গীতশিল্পী হিসাবে বিভিন্ন পুরস্কারও জিতেছিলেন রেমো।

০৫ ২২
স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে স্নাতক স্তরের পড়াশোনা করার জন্য মুম্বইয়ে গিয়েছিলেন রেমো। স্থাপত্যবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি সঙ্গীতচর্চাও চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। গান লেখা থেকে শুরু করে গান গাওয়া— সবকিছুই তিনি একা হাতে করতেন। মুম্বইয়ে বিভিন্ন ব্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়ে গান করতেন রেমো।

স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে স্নাতক স্তরের পড়াশোনা করার জন্য মুম্বইয়ে গিয়েছিলেন রেমো। স্থাপত্যবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি সঙ্গীতচর্চাও চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। গান লেখা থেকে শুরু করে গান গাওয়া— সবকিছুই তিনি একা হাতে করতেন। মুম্বইয়ে বিভিন্ন ব্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়ে গান করতেন রেমো।

০৬ ২২
১৯৭৫ সালে গানের প্রথম অ্যালবাম মুক্তি পায় রেমোর। তার পর থেকেই মুম্বইতে নিজের নাম তৈরি করে ফেলেন তিনি। শহরের নামকরা জায়গায় কনসার্ট করতে শুরু করেন তিনি। এমনকি, বহু কলেজের ক্যাম্পাসে পারফর্ম করতেন রেমো।

১৯৭৫ সালে গানের প্রথম অ্যালবাম মুক্তি পায় রেমোর। তার পর থেকেই মুম্বইতে নিজের নাম তৈরি করে ফেলেন তিনি। শহরের নামকরা জায়গায় কনসার্ট করতে শুরু করেন তিনি। এমনকি, বহু কলেজের ক্যাম্পাসে পারফর্ম করতেন রেমো।

০৭ ২২
রেমোর গানে সাধারণত হলিউডি পপ ঘরানার ছাপ থাকত। তাঁর গানের অভিনবত্ব বজায় রাখতে তিনি বাঁশি এবং সেতার বাজানো শিখেছিলেন। কলেজের পড়াশোনা শেষ করার পর তিনি মুম্বই ছেড়ে পাড়ি দিলেন দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তে।

রেমোর গানে সাধারণত হলিউডি পপ ঘরানার ছাপ থাকত। তাঁর গানের অভিনবত্ব বজায় রাখতে তিনি বাঁশি এবং সেতার বাজানো শিখেছিলেন। কলেজের পড়াশোনা শেষ করার পর তিনি মুম্বই ছেড়ে পাড়ি দিলেন দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তে।

০৮ ২২
কখনও উত্তর আফ্রিকা, কখনও ইউরোপের নানা ফিউশন রক ব্যান্ডের সঙ্গে জুটি বেঁধে শ্রোতাদের সামনে পারফর্ম করেছিলেন রেমো। গোয়ায় ফিরে আসার পর আবার আমস্টারডামে যান তিনি। তার পর নিজস্ব একটি ব্যান্ড তৈরি করেন রেমো।

কখনও উত্তর আফ্রিকা, কখনও ইউরোপের নানা ফিউশন রক ব্যান্ডের সঙ্গে জুটি বেঁধে শ্রোতাদের সামনে পারফর্ম করেছিলেন রেমো। গোয়ায় ফিরে আসার পর আবার আমস্টারডামে যান তিনি। তার পর নিজস্ব একটি ব্যান্ড তৈরি করেন রেমো।

০৯ ২২
ব্যান্ড তৈরি করার পর চারটি গানের একটি ক্যাসেট অ্যালবাম মুক্তি পায় রেমোর। এই গানগুলিতে তিনি সব ধরনের বাদ্যযন্ত্র বাজিয়েছিলেন। এমনকি, অ্যালবামের কভার ডিজ়াইন করা থেকে শুরু করে রেকর্ডিংয়ের কাজেও হাত লাগিয়েছিলেন তিনি। ক্যাসেটটি মুক্তি পেলে তিনি গোয়ার প্রতিটি দোকানে গিয়ে এই ক্যাসেটটি দিয়ে এসেছিলেন। ক্যাসেটের সঙ্গে ছিল তাঁর লেখা একটি কবিতার বই, পোস্টকার্ড এবং তাঁর ডিজ়াইন করা টি শার্ট।

ব্যান্ড তৈরি করার পর চারটি গানের একটি ক্যাসেট অ্যালবাম মুক্তি পায় রেমোর। এই গানগুলিতে তিনি সব ধরনের বাদ্যযন্ত্র বাজিয়েছিলেন। এমনকি, অ্যালবামের কভার ডিজ়াইন করা থেকে শুরু করে রেকর্ডিংয়ের কাজেও হাত লাগিয়েছিলেন তিনি। ক্যাসেটটি মুক্তি পেলে তিনি গোয়ার প্রতিটি দোকানে গিয়ে এই ক্যাসেটটি দিয়ে এসেছিলেন। ক্যাসেটের সঙ্গে ছিল তাঁর লেখা একটি কবিতার বই, পোস্টকার্ড এবং তাঁর ডিজ়াইন করা টি শার্ট।

১০ ২২
রেমোর অ্যালবাম ঝড়ের গতিতে বিক্রি হয়েছিল। ভারতের রক সঙ্গীতশিল্পী হিসাবে তখন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন রেমো। ১৯৮৬ সালে গোয়াতে ভারত সরকারের তরফ থেকে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী। রাজীব এবং তাঁর স্ত্রী সোনিয়ার সামনে গান গাওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন রেমো। কিন্তু তিনি যে গান গেয়েছিলেন তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছিল।

রেমোর অ্যালবাম ঝড়ের গতিতে বিক্রি হয়েছিল। ভারতের রক সঙ্গীতশিল্পী হিসাবে তখন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন রেমো। ১৯৮৬ সালে গোয়াতে ভারত সরকারের তরফ থেকে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী। রাজীব এবং তাঁর স্ত্রী সোনিয়ার সামনে গান গাওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন রেমো। কিন্তু তিনি যে গান গেয়েছিলেন তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছিল।

১১ ২২
রাজীব গান্ধী আসার আগে কলা আকাদেমি দ্রুত  নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু গোয়ায় সেই তৎপরতার সঙ্গে কোনও উন্নয়ন করা হয়নি। তাই রেমো তাঁর গানের মারফত প্রধানমন্ত্রীকে গোয়াতে আসার অনুরোধ করেছিলেন। রাজীবকে এই গানের মাধ্যমে আঘাত করা হয়েছে বলে রেমোর প্রতি অনেকেই ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন। রেমো এই ঘটনাটি প্রধানমন্ত্রীকে জানালে রাজীব তার উত্তরে মন্তব্য করেছিলেন যে, তাঁর এবং সোনিয়ার দু’জনেরই রেমোর গান খুব পছন্দ হয়েছে।

রাজীব গান্ধী আসার আগে কলা আকাদেমি দ্রুত নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু গোয়ায় সেই তৎপরতার সঙ্গে কোনও উন্নয়ন করা হয়নি। তাই রেমো তাঁর গানের মারফত প্রধানমন্ত্রীকে গোয়াতে আসার অনুরোধ করেছিলেন। রাজীবকে এই গানের মাধ্যমে আঘাত করা হয়েছে বলে রেমোর প্রতি অনেকেই ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন। রেমো এই ঘটনাটি প্রধানমন্ত্রীকে জানালে রাজীব তার উত্তরে মন্তব্য করেছিলেন যে, তাঁর এবং সোনিয়ার দু’জনেরই রেমোর গান খুব পছন্দ হয়েছে।

১২ ২২
ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যার্থে ১৯৮৬ সালে মুম্বইতে একটি কনসার্টের আয়োজন করা হয়েছিল। এই কনসার্টে দু’টি গান গেয়েছিলেন রেমো। দূরদর্শনে  তাঁর গাওয়া গান দু’টি চালানো হয়েছিল।

ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যার্থে ১৯৮৬ সালে মুম্বইতে একটি কনসার্টের আয়োজন করা হয়েছিল। এই কনসার্টে দু’টি গান গেয়েছিলেন রেমো। দূরদর্শনে তাঁর গাওয়া গান দু’টি চালানো হয়েছিল।

১৩ ২২
তবে, রেমো ছবিতে গান গাওয়ার জন্য কখনও ছবি নির্মাতাদের কাছে অনুরোধ করেননি। তিনি নিজের মতো গান লিখে সেই গানই গাইতেন। রেমোর এত নামডাক শুনে তাঁর সঙ্গে শ্যাম বেনেগাল যোগাযোগ করেন। ‘ত্রিকাল’ ছবিতে গান করার সুযোগ পান তিনি। প্রযোজক গুল আনন্দের ছবি ‘জলওয়া’ ছবিতেও গান গেয়েছিলেন রেমো।

তবে, রেমো ছবিতে গান গাওয়ার জন্য কখনও ছবি নির্মাতাদের কাছে অনুরোধ করেননি। তিনি নিজের মতো গান লিখে সেই গানই গাইতেন। রেমোর এত নামডাক শুনে তাঁর সঙ্গে শ্যাম বেনেগাল যোগাযোগ করেন। ‘ত্রিকাল’ ছবিতে গান করার সুযোগ পান তিনি। প্রযোজক গুল আনন্দের ছবি ‘জলওয়া’ ছবিতেও গান গেয়েছিলেন রেমো।

১৪ ২২
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মিউজ়িক ফেস্টিভ্যালে গান করতেন রেমো। এই ফেস্টিভ্যালগুলিতে অংশগ্রহণ করে বি‌ভিন্ন পুরস্কারও জিতেছিলেন তিনি। ১৯৮৭ সালে কলকাতায় এসে মাদার টেরেসার সঙ্গে দেখা করেছিলেন রেমো। তাঁর সঙ্গে বার্তালাপ রেমোকে এতটাই উদ্বুদ্ধ করেছিল যে, তিনি মাদার টেরেসাকে সম্মান জানাতে একটি অ্যালব্যাম তৈরির কথা ভেবেছিলেন।

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মিউজ়িক ফেস্টিভ্যালে গান করতেন রেমো। এই ফেস্টিভ্যালগুলিতে অংশগ্রহণ করে বি‌ভিন্ন পুরস্কারও জিতেছিলেন তিনি। ১৯৮৭ সালে কলকাতায় এসে মাদার টেরেসার সঙ্গে দেখা করেছিলেন রেমো। তাঁর সঙ্গে বার্তালাপ রেমোকে এতটাই উদ্বুদ্ধ করেছিল যে, তিনি মাদার টেরেসাকে সম্মান জানাতে একটি অ্যালব্যাম তৈরির কথা ভেবেছিলেন।

১৫ ২২
ফ্রান্সের একজন মহিলাকে বিয়ে করেছিলেন রেমো। নোয়া এবং জোনা নামে দুই পুত্র রয়েছে তাঁর। কিন্তু বিয়ের কয়েক বছর পর রেমো এবং তাঁর স্ত্রীর বিবাহবিচ্ছেদ হয়।

ফ্রান্সের একজন মহিলাকে বিয়ে করেছিলেন রেমো। নোয়া এবং জোনা নামে দুই পুত্র রয়েছে তাঁর। কিন্তু বিয়ের কয়েক বছর পর রেমো এবং তাঁর স্ত্রীর বিবাহবিচ্ছেদ হয়।

১৬ ২২
১৯৯৫ সালে রেমো আবার হিন্দি ছবিতে গান গাইবেন বলে ইন্ডাস্ট্রিতে ফিরে আসেন। ‘বম্বে’ ছবির বিখ্যাত গান ‘হম্মা হম্মা’ গানটি গেয়েছিলেন তিনি। হিন্দি ছবিতে গান গাওয়ার পাশাপাশি তিনি বিজ্ঞাপনের জন্যও গান গেয়েছিলেন। তার পর নিজের মতো গান করতেন তিনি।

১৯৯৫ সালে রেমো আবার হিন্দি ছবিতে গান গাইবেন বলে ইন্ডাস্ট্রিতে ফিরে আসেন। ‘বম্বে’ ছবির বিখ্যাত গান ‘হম্মা হম্মা’ গানটি গেয়েছিলেন তিনি। হিন্দি ছবিতে গান গাওয়ার পাশাপাশি তিনি বিজ্ঞাপনের জন্যও গান গেয়েছিলেন। তার পর নিজের মতো গান করতেন তিনি।

১৭ ২২
২০০৭ সালের জানুয়ারি মাসে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হয়েছিলেন রেমো। দীর্ঘ সময় বলিউড থেকে বিরতি নেওয়ার পর ২০১১ সালে আবার ফিরে আসেন রেমো। বিজয় নাম্বিয়ার পরিচালিত ‘ডেভিড’ ছবিতে গান গেয়েছিলেন তিনি।

২০০৭ সালের জানুয়ারি মাসে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হয়েছিলেন রেমো। দীর্ঘ সময় বলিউড থেকে বিরতি নেওয়ার পর ২০১১ সালে আবার ফিরে আসেন রেমো। বিজয় নাম্বিয়ার পরিচালিত ‘ডেভিড’ ছবিতে গান গেয়েছিলেন তিনি।

১৮ ২২
২০১৩ সালে ‘লভ ইউ সোনিয়ো’ ছবির মূল গানটি গেয়েছিলেন রেমো। ২০১৩ সালের ডিসেম্বর মাসে আপ পার্টিতে যুক্ত হলেও ২০১৪ সালের মার্চ মাসে রাজনীতি থেকে সরে যান তিনি।

২০১৩ সালে ‘লভ ইউ সোনিয়ো’ ছবির মূল গানটি গেয়েছিলেন রেমো। ২০১৩ সালের ডিসেম্বর মাসে আপ পার্টিতে যুক্ত হলেও ২০১৪ সালের মার্চ মাসে রাজনীতি থেকে সরে যান তিনি।

১৯ ২২
বড় পর্দায় অভিনয় করতেও দেখা যায় রেমোকে। মোহিত সুরির পরিচালনায় ২০১৪ সালে ‘এক ভিলেন’ ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল। ওই ছবিতে ‘সিজ়ার’-এর চরিত্রে অভিনয় করেছেন রেমো। অনুরাগ কশ্যপের পরিচালনায় ‘বম্বে ভেলভেট’ ছবিতেও কাজ করেছিলেন তিনি। ২০১৯ সালে বিশ্বেশ কৃষ্ণমূর্তি পরিচালিত ‘৯৯ সঙ্গস’ ছবিতে একটি ছোট চরিত্রে অভিনয় করেছেন রেমো।

বড় পর্দায় অভিনয় করতেও দেখা যায় রেমোকে। মোহিত সুরির পরিচালনায় ২০১৪ সালে ‘এক ভিলেন’ ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল। ওই ছবিতে ‘সিজ়ার’-এর চরিত্রে অভিনয় করেছেন রেমো। অনুরাগ কশ্যপের পরিচালনায় ‘বম্বে ভেলভেট’ ছবিতেও কাজ করেছিলেন তিনি। ২০১৯ সালে বিশ্বেশ কৃষ্ণমূর্তি পরিচালিত ‘৯৯ সঙ্গস’ ছবিতে একটি ছোট চরিত্রে অভিনয় করেছেন রেমো।

২০ ২২
২০১৫ সালে রেমোর ছেলে জোনার নাম একটি পথ দুর্ঘটনার ঘটনায় জড়িয়ে পড়ে। গাড়ি চালানোর সময় পথচলতি এক মহিলাকে ধাক্কা মারেন জোনা। সেই সময় ওই মহিলাকে কটু কথা বলার অভিযোগ ওঠে রেমোর বিরুদ্ধে। তখন প্রকাশ্যে আসে যে, ১৯৯৩ সাল থেকে রেমো পর্তুগালের নাগরিক। তা নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক।

২০১৫ সালে রেমোর ছেলে জোনার নাম একটি পথ দুর্ঘটনার ঘটনায় জড়িয়ে পড়ে। গাড়ি চালানোর সময় পথচলতি এক মহিলাকে ধাক্কা মারেন জোনা। সেই সময় ওই মহিলাকে কটু কথা বলার অভিযোগ ওঠে রেমোর বিরুদ্ধে। তখন প্রকাশ্যে আসে যে, ১৯৯৩ সাল থেকে রেমো পর্তুগালের নাগরিক। তা নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক।

২১ ২২
২০১৬ সালে পর্তুগালে ফিরে যান রেমো। সেখানে গিয়ে তাঁর আত্মজীবনী লেখার কাজে মন দেন। মাদার টেরেসার উদ্দেশ্যে তিনি যে অ্যালবাম তৈরির কথা ভেবেছিলেন, তা নিয়েও কাজ এগোতে শুরু করেন রেমো।

২০১৬ সালে পর্তুগালে ফিরে যান রেমো। সেখানে গিয়ে তাঁর আত্মজীবনী লেখার কাজে মন দেন। মাদার টেরেসার উদ্দেশ্যে তিনি যে অ্যালবাম তৈরির কথা ভেবেছিলেন, তা নিয়েও কাজ এগোতে শুরু করেন রেমো।

২২ ২২
শনিবার সন্ধ্যায় গোয়ার একটি অনুষ্ঠানে গান গাইতে দেখা গেল রেমোকে। বর্তমানে মাদার টেরেসাকে সম্মান জানিয়ে মাঝেমধ্যেই অপেরার আয়োজন করেন তিনি।

শনিবার সন্ধ্যায় গোয়ার একটি অনুষ্ঠানে গান গাইতে দেখা গেল রেমোকে। বর্তমানে মাদার টেরেসাকে সম্মান জানিয়ে মাঝেমধ্যেই অপেরার আয়োজন করেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE