এই দাবির স্বপক্ষে প্রমাণও আছে। নিশ্চিত সাফল্যের আশ্বাসও আছে। তবে তার পাশাপাশি বিজয়প্রসাদের লেখা চিত্রনাট্যে রয়েছে, বোনাস পাওয়ার প্রলোভনও। কেন না তাঁর কাহিনিনির্ভর বেশ কিছু ছবিতে বক্স অফিসের সাফল্য প্রত্যাশার বেড়া টপকে একরকম এভারেস্টেই চড়েছে। ‘বাহুবলী’ ফিল্ম সিরিজ় কিংবা দক্ষিণী ছবি ‘আরআরআর’ তার জ্বলজ্বলে উদাহরণ।
দু’টি ছবিই তৈরি হয়েছিল বিজয়প্রসাদের লেখা গল্প নিয়ে। যদিও উদাহরণ মাত্র দু’টিতে থেমে নেই। চোখের সামনেই তাঁর গল্প নির্ভর আরও অনেক ছবি রয়েছে, যার বক্স অফিস সংগ্রহ তারিফযোগ্য। তামিল ছবি ‘মগধীরা’, ‘আরআরআর’, ‘বাহুবলী’, ‘থালাইভি’র সঙ্গে বলিউডের ‘বজরঙ্গী ভাইজান’, ‘রাউডি রাঠেৌর’, ‘মনিকর্ণিকা’র মতো ছবিকেও কাঙ্ক্ষিত সাফল্য এনে দিয়েছে বিজয়প্রসাদের গল্প। কিন্তু স্বয়ং লেখক জানাচ্ছেন, গল্প নাকি তিনি লেখেনই না!
দক্ষিণের এই চিত্রনাট্যকার সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তিনি গল্প চুরি করেন! তাঁর অধিকাংশ গল্পই নাকি চুরি করা। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, এমন সফল কাহিনি লেখার গোপন কথা। জবাবে বিজয়প্রসাদ বলেছেন, ‘‘গল্প লিখে সময় নষ্ট করতে যাব কেন? আমি দরকার হলেই সিনেমার গল্প চুরি করে নিই। এটাই আমার সাফল্যের গোপন কথা।’’
এর আগে বিজয়প্রসাদের লেখা বাহুবলীর সিক্যুয়েল প্রথমটির থেকেও বেশি ব্যবসা করেছিল। আরআরআর-এর ক্ষেত্রেও কি তাই হতে চলেছে? প্রশ্ন ছিল গল্পকারের কাছে। জানতে চাওয়া হয়েছিল, প্রতি বারই কোন ফর্মুলায় এমন জমজমাট গল্প বুনে ফেলেন তিনি? জবাবে প্রশ্নকর্তাকে তিনি বলেন, গল্প তোমাদের চারপাশেই ঘোরাফেরা করে। কখনও বাস্তবজীবনে তো কখনও ছোট খাট ঘটনার মধ্যে, তা ছাড়া রামায়ণ, মহাভারতের মতো মহাকাব্য তো রয়েছেই, আমি এই সব জায়গা থেকেই গল্প চুরি করে নিই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy