উইম্বলডনের কোর্টে জয়ের সময় আরও এক ‘নজির’ গড়েছিলেন ভারতীয় টেনিসের ইতিহাসে ঢুকে পড়া লীলা। যে সময় হাতেগোনা ভারতীয় মহিলারা শাড়ি পরে টেনিস কোর্টে নামতেন, সে সময় উইম্বলডনের ম্যাচে নড়াচড়ার সুবিধায় স্কার্ট পরে খেলতে নেমেছিলেন তিনি। তাতে উন্মুক্ত ছিল তাঁর দু’পায়ের অনেকাংশ। চিরাচরিত নিয়মের উল্টো পথে হেঁটে সে ছিল লীলার নিঃশব্দ বিপ্লব।
টেনিস কোর্টে ভারতের পতাকা তুলে ধরা লীলা নানা ক্ষেত্রেই প্রতিভার ছাপ রেখেছেন। সংস্কৃত সাহিত্যকে আধুনিকতার ছোঁয়া দেওয়া ক্ষমার মতোই তাঁর মেয়েও এই ভাষার বিশেষজ্ঞ ছিলেন। মণিপুরী এবং ভরতনট্টম নৃত্যের উপর সংস্কৃত এবং ইংরেজি ভাষায় একাধিক বই লিখেছেন লীলা। অন্য দিকে, পেশাদার নৃত্যশিল্পী হিসাবে রসিকজনের নজর কেড়েছেন।
ভারতীয় নৃত্য এবং নাটকের বিষয়বস্তু নিয়ে লীলার লেখা ‘নাট্য চন্দ্রিকা’ হোক বা ভরতনট্টমের নানা ক্রমান্বয় সম্পর্কিত ‘নৃত্য মঞ্জরী’— লেখিকার ভূমিকায়ও সফল তিনি। ১৯৫৮ সালে ‘এলএ টাইমস’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতীয় সাহিত্যকারদের মধ্যে ‘নাট্য চন্দ্রিকা’ই হল প্রথম বই যা আমেরিকার কংগ্রেসের পাঠাগারে ঠাঁই পেয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy