এই কিকু সারদার কথাই ধরুন না। কখনও হাসপাতালের নার্স। কখনও বা ইনস্পেক্টর দামোদর ঈশ্বরলাল গায়তোণ্ডে। আবার কোনও সময় উকিল দামোদর জেঠমলানি। কপিল শর্মার শোয়ের পর্ব ঘুরলেই কিকুর চরিত্রও বদলে যায়। এরই ফাঁকে সানি দেওলের মতো হুঙ্কারও দেন তিনি। শোয়ে আসা অতিথিদের সঙ্গে খুনসুটি করেন। তা এত সব করতে পর্ব পিছু কিকু নাকি নেন পাঁচ থেকে সাত লাখ টাকা।
কপিল শর্মার প্রথম মরসুমে ভারতী সিংহকে দেখা গিয়েছিল বাবলি মৌসি আর লাল্লির ভূমিকায়। পরের বার তিনি এলেন ১১ সন্তানের মা তিতলি যাদব হয়ে। তার পর কখনও গুড্ডু বা কাম্মো বুয়া। এমনকি, অর্চনা পূরণ সিংহের নকল করতেও পিছপা নন। তিন নম্বর অর্থাৎ চলতি মরসুমে তিনি আবার স্বনামেই নজর কাড়ছেন। মাঝে মধ্যে অবশ্য চাচির চরিত্রেও রয়েছেন। ভারতীর আয়ও কম নয়। ফি পর্বে তিনি নাকি ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা ঘরে নিয়ে যান।
সেই প্রথম মরসুমে সরলা গুলাটির ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল সুমনা চক্রবর্তীকে। তার পর থেকে হোটেল চিল প্যালেসের মালকিন হয়ে যান সুমনা। তবে এ বার কপিল শর্মায় তাঁর নাম ভুরি। চলতি মাসের গোড়ায় করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় তিনি বাড়িতে নিভৃতবাসে রয়েছেন। তবে তার আগে শোয়ে কাজ করার জন্য একটি পর্ব থেকে নাকি আয় করতেন ৬-৭ লাখ টাকা।
কর্ণ জোহরের ফিল্ম ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’-তে শাহরুখ খান, কাজল এবং রানি মুখোপাধ্যায়ের পাশাপাশি মিস ব্রেগাঞ্জাকেও মনে রেখেছেন অনেকে। তা সেই মিস ব্রেগাঞ্জা থুড়ি অর্চনা যে এত ভাল কমেডি করেন, তা জানা গেল ‘কমেডি সার্কাস’-এর মতো শোয়ে। তার পর থেকে কপিলের শোয়ে সিধুকে হঠিয়ে জেঁকে বসেন অর্চনা। প্রতি পর্বে তাঁকে দিতে হয় ১০ লাখ টাকা।
নিজের শোয়ে মধ্যমণি যে তিনি, তা বার বার প্রমাণ করেছেন কপিল শর্মা। আজকাল তিনি শিরোনামে কৌতুকশিল্পী হিসেবে তাঁর সফরনামা ঘিরে। অমৃতসর থেকে উঠে আসা অজানা কপিলের কাহিনি নেটফ্লিক্সে দেখা যাবে ‘কপিল শর্মা: আই অ্যাম নট ডান ইয়েট’-তে। তবে সে স্ট্যান্ড-আপ কমেডি শোয়ের আগেই নিজের পকেট ভারী করেছেন কপিল। নিজের শো থেকে তাঁর আয় পর্ব প্রতি ৫০ লাখ টাকা!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy