কাঠবিড়ালীর কান্না
শীতের সকালে ছাদের রোদে বসে কমলালেবু খাচ্ছিলাম। হঠাৎ কানে এল আর্তচিৎকার। তাকিয়ে দেখি, একটা কাঠবিড়ালীর ছানা ছাদের কোণে পড়ে খুব কান্নাকাটি করছে আর ভয়ে থরথর করে কাঁপছে। আমাকে দেখে ছাদের পাশের নারকেল গাছের ওপর থেকে তার মা কিচ কিচ করে যেন কেঁদে বলল, আমার বাচ্চাটা খেলতে খেলতে গাছ থেকে পড়ে গেছে, একটু তুলে দেবে, প্লিজ! মাকে ডাকলাম। মা লম্বা ঝুলঝাড়ুটা এনে ছানাটাকে ঝাড়ুর নরম মাথার ওপরে যত্ন করে বসাল। ছানাটা চারটে পা দিয়ে ঝাড়ুর পাটগুলো খামচে ধরল। এ বার মা তাকে ধীরে ধীরে গাছটার ওপর তুলে দিল। ও মায়ের কাছে ফিরে খুশিতে কিচ কিচ করে বলল, ধন্যবাদ বন্ধু।
সংলাপ মিত্র। ক্লাস ট্রানজিশন, সাউথ পয়েন্ট
দরজি পাখি
এক দিন দেখলাম আমাদের ডুমুর গাছের দুটো পাতা সুন্দর সেলাই করা। কাছে গিয়ে দেখি একটা খুব ছোট্ট পাখি তার ভেতর থেকে বেরিয়ে গেল। মা বলল, ওটা টুনটুনির বাসা। ভেতরে তিনটে ছোট্ট ছানা চিঁ-চিঁ করছে। মা-পাখিটা একটু দূরে বসে ডাকাডাকি করছে। মা বলল, সরে আয়। ওরা ভয় পাবে। তার পর থেকে রোজ এক বার লুকিয়ে দেখে আসতাম ছানাগুলোকে। এক দিন দেখি, বাসা থেকে বেরিয়ে ছানাগুলো গাছের ডালে বসে আছে। কাছে যেতেই উড়ে গিয়ে আরও উপরের ডালে বসল।
মেধা নাগ। তৃতীয় শ্রেণি, বেথুয়াডহরি শিশু বিদ্যা মন্দির, নদিয়া
হাল ছাড়ে না
সামনের বাড়িতে কেউ থাকে না। বেশ কয়েক দিন ধরে দেখছি, ওই বাড়ির চিমনির পাইপের মধ্যে একটা দোয়েল খুড়কুটো নিয়ে ঢুকছে। অন্যটা তখন বাইরে। এক দিন কী হল, দুটো শালিক এসে দোয়েলগুলোর সঙ্গে লড়াই করে বাসাটা ভেঙে দিল। ওরা আবার বাসাটা বানাল। ডিম পাড়ল। ডিম ফুটে বাচ্চা হল। ছোট্ট দোয়েলগুলো এখন আমাদের উঠোনে ঘুরে বেড়ায়।
অদিতি সেনগুপ্ত। পঞ্চম শ্রেণি, রামপুরহাট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, বীরভূম
নজরদার
চার পাশে যে না-মানুষরা ঘুরছে-ফিরছে, তাদের সঙ্গে ভাব জমে তোমার? যদি বাড়িতে থাকা টিকটিকি, পাড়ার পাজির পাঝাড়া
ভুলো কুকুর, গাছের গোড়ায় বাসা বাঁধা উইপোকা, অ্যাকোয়ারিয়ামের লাল টুকটুকে মাছ, বা এ রকম অন্য কোনও ঘনিষ্ঠ
প্রতিবেশীর রোজকার জীবনে মজার কিছু খুঁজে পাও, চটপট লিখে পাঠিয়ে দাও আমাদের। খামের উপরে লেখো:
নজরদার, রবিবারের আনন্দমেলা, আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬, প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা ৭০০০০১
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy